নিজস্ব প্রতিবেদন: রাস্তায় নেমে যাঁরা করোনা মোকাবিলা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই ফতোয়া জারি তৃনমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র।এমনই অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি একটি ভিডিয়োকে ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য পুলিসের ১৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বহু কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে ওই ব্যাটেলিয়নের কোনও পুলিস কর্মীকে সরাসরি পণ্য বিক্রি করা যাবে না। শ্রমিক সংগঠনের পতাকা সহযোগে কর্মীরা ঘুরে ঘুরে ঘুটগড়িয়া এলাকায় এই মর্মে মাইকে প্রচার চালায় বলে অভিযোগ ।


আরও অভিযোগ, মাইকে এও বলা হচ্ছে, ১৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কর্মীদের সরাসরি কোনও জিনিস বিক্রি করলে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তবে ব্যবসার স্বার্থে কেউ ব্যাটেলিয়নের কর্মীদের পণ্য বিক্রি করতে চাইলে ফোনে অর্ডার নিয়ে সেই জিনিসপত্র ক্যাম্পাসের গেটের বাইরে রেখে আসতে পারেন।
 শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের তরফে এই ফতোয়া মিলতেই এলাকার ব্যবসায়ীরা ব্যাটেলিয়নের কর্মীদের পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে চাইছে না বলে অভিযোগ। এর ফলে বড়জোড়ার ঘুটগড়িয়া এলাকায় থাকা ১৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের হেড কোয়ার্টারে থাকা পুলিসকর্মী এবং ওই এলাকায় ভাড়া থাকা পুলিস কর্মীদের পরিবার চরম সমস্যার মুখে পড়েছে।
 আইএনটিটিইউসি-র এই মাইক প্রচারের ভিডিয়ো সামনে আসতেই তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই প্রচার ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায়।

১৫ অগস্টই কি দেশে কোভ্যাকসিন আসবে? ভারতবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষাই ICMR এর পাখির চোখ


এই ঘটনাটি রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। বাঁকুড়া জেলার তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। জেলার পুলিস সুপার জানান, “ কোনও সমস্যা নেই। পুলিসকর্মীরা অর্ডার দিলেই অফিসের গেটের বাইরে জিনিস পৌঁছে যাবে। সাবধানতা অবলম্বন করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ।”