দিল্লি থেকে ফোন খোঁজ মুখ্যমন্ত্রীর, শহিদ জওয়ানদের পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ বিধায়কদের
দিল্লি থেকে ফোন করে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন এরাজ্যেও ২ জওয়ান। একদিকে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার চককাশি রাজবংশী পাড়ার বাসিন্দা বাবলু সাঁতরা, অন্যদিকে নদীয়ার তেহট্টের হাঁসপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুদীপ বিশ্বাস। ছেলে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর দুই পরিবারেই অবস্থা ফিরেছিল। কিছুটা সচ্ছলতার মুখ দেখেছিল দুই পরিবার। বৃহস্পতিবারের দুপুর এক নিমেষে কেড়ে নিয়েছে সেই ভরসার অবলম্বনটুকু।
রাজ্যের দুই জওয়ানের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরই ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে ফোন করে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। শহিদ জওয়ানদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বিধায়কদের নিহত জওয়ানদের পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, দেশমাতার জন্য আমার আর এক সন্তানকেও উত্সর্গ করতে প্রস্তুত, বললেন শহিদ জওয়ানের বাবা
ছোটোবেলায় বাবাকে হারিয়েছিলেন। ৫ ভাইবোন আর মায়ের সংসারের জোয়াল ধরতেই স্কুলের গণ্ডি পেরনোর আগে মাছ বিক্রি করতে শুরু করেছিলেন বাবলু। এরপর স্কুল পেরিয়ে কলেজে যাওয়া। কিন্তু ছোটো থেকেই দেশের কাজে নিজেকে সোপেঁ দেওয়া ছিল তাঁর লক্ষ্য। ২০০০ সালে কলেজে পড়ার সময়ই সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। সেনাবাহিনীর চাকরি পাওয়ার পরই দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে কিছুটা শ্রী ফিরেছিল। এরই ফাঁকে বিয়ে করেন বাবলু। তাঁর চার বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। দেড় মাস আগেও বাড়ি ফিরেছিলেন।
আরও পড়ুন, বলে গিয়েছিলেন, 'তাড়াতাড়ি ফিরব'... কফিনবন্দি হয়ে ফিরছেন পুলওয়ামায় শহিদ নদিয়ার সুদীপ
অন্যদিকে, মা, বাবা আর এক বোনকে নিয়ে ছোট্ট ছিমছাম সংসার ছিল সুদীপের। সিআরপিএফ-এ যোগ দেওয়ার পর ঘরে কিছু টাকা এসেছিল। সেই উপার্জনকে সম্বল করেই সদ্য বোনের বিয়ে দিয়েছিল সিআরপিএফ জওয়ান দাদা। নিজের এখনও বিয়ে হয়নি। দেখাশোনা শুরু হয়েছিল। বিয়ের আগে একটা পাকা ঘরের করার দরকার ছিল খুব। তাই বাড়ির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্ত, বৃহস্পতিবারের আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় এক মুহূর্তে ভেঙে গুঁড়িয়ে চুরমার করে দিয়েছে সব স্বপ্ন।