Purulia: অবিশ্বাস্য! এবার অযোধ্যা পাহাড় বেড়াতে যেতে পারবেন বিমানে চেপেই...
Purulia Transport: ব্রিটিশদের ফেলে যাওয়া রানওয়ে অর্থাৎ, এয়ারস্ট্রিপকে অত্যাধুনিক বিমান বন্দরে রূপান্তরিত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই মর্মে বুধবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা রানওয়ে এলাকা পরিদর্শন করলেন।
মনোরঞ্জন মিশ্র: অবশেষে স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে রাজ্যের প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়ার? স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে পুরুলিয়াবাসীর? কেন এ কথা? কারণ, পরিবহণের ক্ষেত্রে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ঘটনা ঘটতে চলেছে এই জেলায়।
আরও পড়ুন: No Chicken: চিকেনপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, কাল থেকে বন্ধ মুরগি!
পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে ছররাতে তৈরি হতে চলেছে অত্যাধুনিক এক বিমান বন্দর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জরুরি পরিস্থিতিতে বিমান ওঠানামার জন্য পুরুলিয়া মফফসল থানার ছররাতে এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। বর্তমানে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
ব্রিটিশদের ফেলে যাওয়া সেই রানওয়ে অর্থাৎ, এয়ারস্ট্রিপকে অত্যাধুনিক বিমান বন্দরে রূপান্তরিত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই মর্মে আজ, বুধবার রাজ্য সরকারের ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টের এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার, রাইটস ডিপার্টমেন্ট এবং ভূমি দফতরের আধিকারিকরা রানওয়ে এলাকা পরিদর্শন করলেন। খতিয়ে দেখলেন ম্যাপ। জমি পরিদর্শনের পাশাপাশি সয়েল টেস্টও করলেন আধিকারিকেরা। এবার বিমান বন্দরের ডিপিআর তৈরি করে সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে।
পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর তৈরি হলে পুরুলিয়ার সঙ্গে রাজ্যের বা দেশের বাকি অংশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটবে বলে মনে করছেন জেলাবাসী। সূত্রের খবর, বিমানবন্দরটি ১৭২২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৫০ মিটার প্রস্থযুক্ত হবে। এখানে বিমানবন্দর তৈরি হলে প্রান্তিক পুরুলিয়া জেলার সঙ্গে অন্যান্য জায়গার যাতায়াতের সুবিধা যেমন বাড়বে, তেমনই আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রেও উন্নতি হতে পারে বলে মত বিভিন্ন মহলের।
আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: এবার নিম্নচাপের চোখরাঙানি! ১৯ জুলাই থেকে আবহাওয়ায় আসছে বড় পরিবর্তন...
পুরুলিয়া এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপূর্ণ জেলা। এই জেলায় প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ছুটে যান। রাজ্যের মধ্যে ঘুরে আসার ক্ষেত্রে অনেকের কাছেই পুরুলিয়া অন্যতম পছন্দ। কেননা, যেতে সময় কম লাগে। এবং আজও প্রকৃতি খুবই আদিম ও সৌন্দর্যময় এখানে। অল্প সময়ে ভ্রমণস্থলের কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া যায় বলে ভ্রমণার্থীদের কাছে জায়গাটির কোনও বিকল্প তৈরি হয়নি। এবার এরকম একটি জায়গায় বিমানন্দর তৈরি হলে বোঝাই যাচ্ছে, তা ভ্রমণের ক্ষেত্রকে কতটা সমৃদ্ধ করবে!