নিজস্ব প্রতিবেদন : মানুষকে বোঝাতে হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কী? জনমত গড়ে তুলতে হবে নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে। আর তাই এলাকা ধরে ধরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে প্রচারের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে শীর্ষনেতাদের। তৈরি করা হচ্ছে স্ট্র্যাটেজি। আর কোথায় গিয়ে যেন সেই রণনীতি তৈরিতে তৃণমূলকে 'অনুসরণ' করছে বা বিজেপি তৃণমূলের 'জুতোয় পা গলাচ্ছে' বলা যায়। ব্যাপারটা কী? একটু খোলসা করা যাক। CAA নিয়ে জনমত গড়ে তুলতে স্থানীয় ক্লাব, এলাকাব বুদ্ধিজীবী মানুষদের কাছে টানার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে CAA-র প্রচার নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার কথাতেই স্পষ্ট সেকথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খোদ অমিত শাহ এবং দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডা ইতিমধ্যেই রাজ্য ধরে ধরে CAA-প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছেন নেতাদের। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কে কোন রাজ্যে প্রচারের দায়িত্ব পেলেন?


-পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং উত্তরপূর্বে প্রচারের মুখ হেমন্ত বিশ্বশর্মা এবং রাহুল সিনহা


-উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের দায়িত্বে অনিল জৈন


-মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, দিল্লিতে CAA-প্রচারের ভার অবিনাশ রাইকে


-গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানে প্রচারের মুখ সরোজ পাণ্ডে


-হিমাচল, জম্মু ও কাশ্মীর, পঞ্জাব ও হরিয়ানায় প্রচারের দায়িত্বে সুরেশ ভাট


-তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র, কেরালা, কর্নাটক ও পুদুচেরিতে প্রচারের দায়িত্বে রবীন্দ্র রাজু


আরও পড়ুন, NRC-CAA নিয়ে বিরোধিতার মধ্যেই জানুয়ারিতে ২ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ দেশ। এককাট্টা বিরোধী পক্ষ হাতে হাত মিলিয়েছে। আইন পাস হওয়ার পর থেকেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। আমজনতাকে পাশে পেতে এবার পাল্টা প্রচারে নেমেছে বিজেপিও। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে জনমত গড়তে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবিরও। টুইটারে হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেন শুরু করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে CAA-নিয়ে  আমজনতার কাছে পৌঁছতে এবার এলাকা ধরে ধরে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শীর্ষনেতাদের। নেওয়া হচ্ছে নতুন কৌশল।