নিজস্ব প্রতিবেদন: পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই সাপ ধরার চেষ্টা। বাহাদুরির খেসারতও দিতে হল উক্ত ব্যক্তিকে। পর্যাপ্ত ট্রেনিং না নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে বিষধর সাপকে কৌটোবন্দি করতে গিয়েই বিপদ বাঁধালেন ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের পুরসভার ৪নং ওয়ার্ড রবীন্দ্রপল্লীতে। প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্যোশাল মিডিয়া দেখে বিষধর কালাচ সাপ ধরার বাহাদুরি দেখাতে গিয়ে সাপের দংশন। আতঙ্কে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলেন সৌরভ পন্ডিত নামে এক ব্যক্তি। তারপরেই, ইউটিউব দেখে সাপ ধরা উচিৎ হয়নি বলে স্বীকারোক্তি তাঁর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রায়গঞ্জের পুরসভার ৪নং ওয়ার্ড রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা সৌরভ পন্ডিত, শুক্রবার রাতে এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিষধর সাপ ঢোকার খবর পেয়ে ছুটে যান। ঘরের কানাচে লুকিয়ে থাকা সাপটিকে নিজের বাগে এনে দুহাতে ধরেও ফেলেন যুবক। ধরা পড়তেই বোঝা যায় সাপটি কালাচ৷ পরে একটি প্লাস্টিকের বড় কৌটোয় বন্দি করতে গেলেই তার ডানহাতের দুই আঙুলে সাপের দংশন টের পান সৌরভ।


আরও পড়ুন, Bolpur: হাইকোর্টের নির্দেশে কেটেছে অচলাবস্থা, Visva-Bharati-তে শুরু ভর্তি প্রক্রিয়া


আতঙ্কে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের স্মরণাপন্ন হন ওই যুবক। খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকেরাও হাসপাতালে আসেন। তৎক্ষনাৎ শুরু হয় চিকিৎসা। রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে রক্তে বিষ আছে কিনা তা দেখা হয়। যদিও বিষধর সাপের কামড় নিয়ে সন্দীহান ওই যুবক হাসপাতাল বেডে বসে থাকলেও মনে মনে যথেষ্টই আতঙ্কিত বলেই জানা যায়। 


তবে সে যে অনেক বড় দুঃসাহস দেখাতে গিয়েছিল এবং তাতে যে তার জীবনহানীও ঘটতে পারত বলেই স্বীকারোক্তি যুবকের। তাঁর কথায়, ''ইউটিউব দেখেই সাপ ধরার কায়দা শিখেছি। আমার মত এমন যেন কেউ দুঃসাহস না দেখায়।'' এদিকে ছেলের এমন কাণ্ডে হতবাক তার পরিবারও। 


সৌরভের বাবার বক্তব্য, ''ও কোনও প্রশিক্ষণই নেয়নি। বন্ধুরা মিলেই নিজেদের মধ্যে ওরা এসব করে। অন্যদের বলব যাতে কেউ এমনটা না করে।'' তবে সঠিক প্রশিক্ষন না নিয়ে সাপ ধরা অনুচিৎ এবং বন আইনে এই কাজ বেআইনী বলেও জানালেন বিশেষজ্ঞরা। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)