ওয়েব ডেস্ক : আদিবাসী সংগঠনের রেল রোকো আন্দোলনের প্রভাব পড়ল রাজ্যে। এর জেরে বাতিল করা হয় বেশ কয়েকটি ট্রেন। সময়সূচি পরিবর্তন করা হয় বেশকিছু ট্রেনের। রেলপথের পাশাপাশি জাতীয় সড়কেও চলে অবরোধ। চূড়ান্ত অসুবিধায় পড়েন যাত্রীরা। ঝাড়খন্ড বিধানসভায় ছোটনাগপুর টেনেন্সিয়াল অ্যাক্ট বাতিল ও রাজ্যসভায় নতুন বিল পাস। এর জেরে কেড়ে নেওয়া হয়েছে আদিবাসীদের জমির অধিকার। এই অভিযোগ তুলে শুক্বার সারা দেশ ব্যাপী রেল রোকো ও পথ অবরোধের ডাক আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের।  এর প্রভাব পড়ল রাজ্যেও। তবে যে রাজ্যের আইন পরিবর্তন  নিয়ে আন্দোলনের ডাক, সেই ঝাড়খন্ড, ওড়িশায় কিন্তু এর কোনও প্রভাব পড়েনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- জিএসটি উদ্বোধনীর অনুষ্ঠান সূচী


খড়গপুর ডিভিশনের রেল অবরোধ বালিয়াচক, নেকুরসেনি খেমাশূলি এবং আদ্রা ডিভিশনের শালবনী, ছাতনা, মধুকুন্ডা, গড়ধ্রুবেশ্বর পিয়ারডোবায়। এর জেরে আটকে যায় দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন। এর জেরে দক্ষিণ পূর্ব রেল যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়।  ঝাড়গ্রামে আটকে যায় গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন।  বাতিল হয় হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস সহ বেশ কয়েকটি ট্রেন। বহু ট্রেন গন্তব্যস্থলের আগেই যাত্রা শেষ করে দেওয়া হয়। হাওড়া-মুম্বই গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস, হাওড়া-হায়দরাবাদ ইস্ট কোস্ট সহ বেশ কয়েকটি ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। খড়গপুর ডিভিশনের রেল অবরোধ বালিয়াচক, নেকুরসেনি খেমাশূলি এবং আদ্রা ডিভিশনের শালবনী, ছাতনা, মধুকুন্ডা, গড়ধ্রুবেশ্বর পিয়ারডোবায়। এর জেরে আটকে যায় দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন। এর জেরে দক্ষিণ পূর্ব রেল যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়।


এছাড়াও গোদাপিয়াশাল স্টেশনে আটকে যায় খড়্গপুর আদ্রা প্যাসেঞ্জার। মধুকুন্ডায় অবরোধের জেরে বহু জায়গায় আটকে যায় ট্রেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডে আটকে যায় শিরোমণি প্যাসেঞ্জার। রেল অবরোধের প্রভাব পড়ে বাঁকুড়া ও বীরভূমেও। প্রভাব পড়ে হাওড়া-বর্ধমান শাখার মেন লাইনে। মেমারি স্টেশনে অবরোধের জেরে কার্যত অচল হয়ে যায় ব্যান্ডেল থেকে বর্ধমান লাইনের সমস্ত ট্রেন।  শালবনীতে ৬০ নং জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়। অবরোধ করা হয় খেমাশূলিতে ৬ নং জাতীয় সড়ক।