নিজস্ব প্রতিবেদন: নিম্নচাপের কড়া ভ্রুকুটি চলছে। বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না আমাদের। এদিকে গরমও কমছে না। আর্দ্রতাও সাঙ্ঘাতিক। অস্বস্তি কমছে না।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অথচ কিছুদিন আগেই পুজো গিয়েছে। শরতের কাশ ফুলে ছেয়ে গিয়েছে নদীতীর, বিলের ধার। এ সময় বৃষ্টি যে একেবারেই হয় না, তা-ও নয়। কখনো টানা, কখনো-বা দু-এক পশলা বৃষ্টি হয়ই। ভ্যাপসা গরমও থাকে। এবারেও যেটা ভালো রকমই আছে। গাছপালা কম থাকায় শহরাঞ্চলে ভ্যাপসা গরমের মাত্রা আরও বেশি থাকে। কলকাতাবাসী তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। কিন্তু শরৎকাল শেষ, হেমন্ত এসে পড়েছে। এই সময়ে এত ভ্যাপসা গরমের কারণ কী?


আরও পড়ুন: Weather: পুজো পেরিয়েও অসময়ে বৃষ্টি চলছেই, কেন বর্ষার এমন খামখেয়ালিপনা?


আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণের বাড়াবাড়িই এর মূল কারণ। বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। তবে তখন বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকে। আর তা কম থাকলে শরীর থেকে ঘাম কম বেরয়। এদিকে শরৎকালে, অর্থাৎ, ভাদ্র-আশ্বিন মাসে তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা-নামা করে। তার পরেও বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকায় গরম অনুভূত হয় বেশি।


আবহাওয়াবিদেরা জানান, বৈশাখে তাপমাত্রা বেশি, কিন্তু বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম। অন্য দিকে, ভাদ্র-আশ্বিন মাসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকলেও বাতাসে জলীয় বাষ্প খুব বেশি থাকে। তাই শরীর ঘেমে যায়। তাই এই ভ্যাপসা গরম। ঘাম না শুকোলে গরম বেশি অনুভূত হয়। অস্বস্তিও বাড়ে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞেরা বলেন, আজকাল আশ্বিন মাসের আকাশেও ভালো পরিমাণ মেঘ থাকে। দিনের বেলা সূর্যের তাপ মেঘের বাধার কারণে উপরে উঠে যেতে পারে না। সব মিলিয়ে গরমও সহজে কমে না।


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা, আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন