গভীর নিম্নচাপে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা, আঁটসাঁট ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন
নিচু জায়গা ছেড়ে সবাইকে উঁচু জায়গায় উঠে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ সোমবার সেই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। গভীর নিম্নচাপের জেরে আগামী ৩ দিন প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
প্রবল বর্ষণের জেরে বাড়তে পারে নদী বা সমুদ্রের জলস্তর। যে কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী সহ গোসাবা নদী তীরবর্তী এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যে সমস্ত মৎস্যজীবী এই মুহূর্তে গভীর সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদেরকে দ্রুত ফিরে আসারও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
এর পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের উদ্দেশেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে সতর্কতামূলক প্রচার। নিচু জায়গা ছেড়ে সবাইকে উঁচু জায়গায় উঠে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনি, জ্যামড়া, শ্যামপুরের মতো নিচু জায়গাগুলো থেকে আপৎকালীন ভিত্তিতে যাতে গ্রামবাসীদের সরানো যায় তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। রামনগর ১, ২ ও খেজুরি ২ ব্লকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে এলাকা ভিত্তিক ত্রিপল ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সিভিল ডিফেন্স নিয়োগ করা হয়েছে সমুদ্র উপকূলে। মাইকিং করা হয়েছে। বিকেলের পর থেকে সমুদ্রের ধারে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের।
আরও পড়ুন, Weather: পুজো পেরিয়েও অসময়ে বৃষ্টি চলছেই, কেন বর্ষার এমন খামখেয়ালিপনা?
অপরদিকে পটাশপুর, ভগবানপুর, এগরার মত বিস্তীর্ণ এলাকায় যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখানে জল সামান্য নামলেও নতুন করে বৃষ্টিতে ফের প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। বন্য়ার্তদের পুনরায় উঁচু জায়গায় নিয়ে এসে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ত্রিপল, ড্রাই ফুড এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।