নিজস্ব প্রতিবেদন: 'যদি ভদ্রলোকের রক্ত তোমার শরীরে বয়, তাহলে ডোমজুড়ে প্রার্থী হও, পালিয়ে যেও না। এমন হারান হারাব যে, আগামী ২ বছর রাতে ঘুমোতে পারবে না'।  হাওড়ার ডুমুরজলার সভা থেকে এই ভাষাতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee) চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। 'কাঁথির মেজোবাবু' সম্বোধনে তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারীকেও (Suvendu Adhikari)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অমিত শাহের (Amit Shah) পাঠানো চার্টার্ড বিমানে সোজা দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠকে পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। এরপর হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে প্রথমবার গেরুয়াশিবিরের নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। স্রেফ তীব্র আক্রমণ করাই নয়, প্রথম ভাষণেই রাজ্যের তৃণমূলের সরকারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন রাজীব। 


আরও পড়ুন: 'মমতা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে অভিভূত,' MIM ছেড়ে TMC-তে বীরভূম জেলা সম্পাদক


এদিন সেই ডুমুরজলাতেই জনসভা করল হাওড়া জেলা তৃণমূল। সভায় ভাষণ দিতে এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajib Banerjee) চাঁচাছোলা ভাষায় পাল্টা চ্যালেঞ্জ করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। বাদ গেলেন না শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  'কাঁথির মেজোবাবু' সম্বোধন কল্যাণ বলেন, 'নারদা থেকে যে ৬ লক্ষ টাকা নিলেন, সেই টাকা কোথায়? হলদিয়া বন্দর তো লুটে সাফ করে দিলেন।' সঙ্গে যোগ করলেন, 'আরএসএস না হলে বিজেপিতে কদর নেই। তাই মাথায় পাগড়ি বেঁধে শুভেন্দু এখন আরএসএস হওয়ার চেষ্টা করছেন'। সভা শেষে মন্ত্রী অরূপ রায়ের (Arup Roy) হুঁশিয়ারি, 'আমরা শোকেস দেখিয়েছি, গোডাউন দেখাইনি। যেদিন মমতাদি আসবেন, সেদিন গোডাউন খুলে দেব। হাওড়া থেকে বিজেপি সাফ হয়ে যাবে'।


আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় দেওয়াল লেখা নিয়ে উত্তেজনা, BJP কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ


দলবদলের পর এদিন প্রথম ডোমজুড়ে যান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি, কালো পতাকাও দেখানো হয়। সেই প্রসঙ্গে হাওড়ার (সদর) তৃণমূল সভাপতি মন্ত্রী অরূপ রায়ের (Arup Roy) প্রতিক্রিয়া, 'তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মানুষ তাঁকে (Rajib Banerjee) ভোট দিয়েছিল। এই দলবদল মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। তাই বিক্ষোভ দেখিয়েছে'। উল্লেখ্য, ডুমুরজলা সভায় কিন্তু গরহাজির ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা।  মন্ত্রিত্ব ও জেলা সভাপতির পদ থেকে ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।