রেফার রোগ! একেরপর এক হাসপাতাল ঘুরেও বেড মিলল না, অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু করোনা রোগীর
এমনকী মৃতদেহ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে বলেও অভিযোগ মৃতর পরিবারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক হুঁশিয়ারির পরও চিত্রটা বদলাচ্ছে না। আবারও বেড মেলেনি, হাসপাতালের বাইরেই মৃত্যু করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়র। সূত্রের খবর, সঙ্কটজনক অবস্থায় করোনা পজিটিভ রোগীকে জেলা হাসপাতাল থেকে পাঁশকুড়া কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ বেড খালি নেই বলে ভর্তি নেওয়া হয়নি রোগীকে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় রোগীর।
এমনকী মৃতদেহ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে বলেও অভিযোগ মৃতর পরিবারে। তাঁরা জানায়, কাগছপত্র নেওয়ার জন্য মৃতদেহ নিয়ে পুনরায় জেলা সদর হাসপাতালে যেতে হয় তাঁর আত্মীয়দের। দীর্ঘ টালবাহানার পর মৃতদেহ পাঠান হয় মর্গে!
আরও পড়ুন: মাঝরাস্তায় নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, বেল্ট দিয়ে মারধরে গ্রেফতার যুবক
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ৬৫ বছরের এক পৌঢ়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার সকালে তমলুকের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীকে আইশোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, রিপোর্ট আসতে দেরি হবে জানালেও পরে মৌখিকভাবে জানানো হয় রোগীর করোনা পজিটিভ এসেছে। তখনই রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তড়িঘড়ি রোগীকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ওই হাসপাতালের সামনে চিকিৎসক জানায় রোগীর অবস্থা খারাপ, হাসপাতালেও বেড নেই। কাজেই ফের তাই চন্ডীপুরর হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে। দীর্ঘ এই টালবাহানায় রোগীর মৃত্যু হয়। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালের সঙ্গে ফের সমন্বয়ের অভিযোগ তুলেছেন রোগীর আত্মীয়রা। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।