DA Movement, Kazi Nazrul University: `DA আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি`! বহিষ্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার
রাজ্যেপালের আবেদনেও পিছু হটতে রাজি হননি DA আন্দোলনকারীরা। ধর্মতলায় শহিদ মিনারের নিচে অবস্থান ও অনশন চলছে এখনও। শুধু তাই নয়, বকেয়া DA-র দাবিতে ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটও পালন করেন যৌথমঞ্চের সদস্যরা।
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: 'DA আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি'। কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দর কোনারকে বহিষ্কার করলেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। কেন এমন সিদ্ধান্ত? উপাচার্যের বিরুদ্ধে আবার পাল্টা আন্দোলনে নামলেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীরাও।
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যেপালের আবেদনেও পিছু হটতে রাজি হননি DA আন্দোলনকারীরা। ধর্মতলায় শহিদ মিনারের নিচে অবস্থান ও অনশন চলছে এখনও। শুধু তাই নয়, বকেয়া DA-র দাবিতে ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটও পালন করেন যৌথমঞ্চের সদস্যরা।
এদিকে নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, ধর্মঘটে দিন অফিসে না এলে বেতন ও ছুটি কাটা হবে। এমনকী, চাকরিতে ব্রেক হবে সার্ভিস রেকর্ডও! তাহলে? স্রেফ নামের তালিকা সংগ্রহ করাই নয়, ধর্মঘটীদের সরকারি কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারীদের ইতিমধ্যেই শোকজ নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ, জবাব সন্তোষজনক না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: DA Movement, Mamata Banerjee: রাজ্য সরকারের চাকরি করলে রাজ্যেরই ডিএ পাবেন', অবস্থানে অনড় মমতা
কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারকে কেন বহিষ্কার? উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর অভিযোগ, 'DA আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রেজিস্ট্রারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। কারা ১০ তারিখে ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন, সে বিষয়ে তথ্য চেয়েও পাওয়া যায়নি'। এমনকী, DA আন্দোলনকারীদের নাকি বেতনও দিয়েছিলেন রেজিস্ট্রার!
এর আগে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই বৈঠকের মাঝেই আচার্য সিভি আনন্দ বোসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন কাজি নজরুল-সহ ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাঁদের পদত্যাগ গ্রহণ করার পর, ওই ৭ উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়িয়ে দেন রাজ্যপাল।