নিজস্ব প্রতিবেদন: সিপিএমের এককালের নেত্রী। এখনও বামপন্থী। এবারের ভোটটাও সিপিএমকেই দিয়েছেন। একটা সময় সিপিএমের টিকিটে জিতেছিলেন পঞ্চায়েত ভোট। সেই রিনা সাহাই এবার আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। সৌজন্যে ভোটের আগে তাঁর বাংলা-হিন্দি মিশ্রিত তাঁর ভাইরাল ভিডিয়ো। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজে বামপন্থী হলেও গুজরাট মডেল দেখে আমোদিত হয়েছেন রিনা সাহা। দাবি করেছেন, ওমন উন্নয়ন করতে হলে বাংলার একশো বছর লাগবে। গুজরাটে এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন। আর সপ্তাহ দুয়েক মোদীর রাজ্যে কাটানোর পর রিনাদেবীর উপলব্ধি, গুজরাট স্বর্গ। নিজের চর্মচক্ষুতে দেখে এসেছেন, ভাইব্র্যান্ট গুজরাটকে। উন্নয়ন দেখে মন্ত্রমুগ্ধ তাঁর পরিবারও। বামপন্থী হলেও এবার বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছিলেন রিনাদেবী। ভোটের মাঝে ভাইরাল হয়েছিল তাঁর সেই ভিডিয়ো। রিনাদেবীকে বলতে শোনা গিয়েছে,''২২ দিন গুজরাত ঘুরকে আয়া হ্যায়। গুজরাত মে বিকাশ হুয়া হ্যায় মানে স্বর্গ হুয়া হ্যায়! মোদী সরকারনেই তো করতা হ্যায়। হাম কাস্তে-হাতুড়ি-তারা হ্যায়। কিন্তু মোদী সরকার মে সাপোর্ট করতা হয়''। 



গুজরাট মডেলে সওয়ার হয়েই ২০১৪ সালে ক্ষমতায় ফিরেছিলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। দুদিন আগে অহমেদাবাদের সভায় রায়গঞ্জের মহিলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি, বাংলার এক মহিলা মোদী মোদী করছেন। বলছেন,''আমি গুজরাটে গিয়েছি। দেখেছি, স্বর্গ হয়েছে সে রাজ্যে''। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার এক প্রান্তিক গৃহবধূর সরল মন্তব্যই আরও একবার মান্যতা দিল মোদীর 'ভাইব্র্যান্ট গুজরাট মডেল'কে। তাও আবার কার মুখে। সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যই বলছেন, বাংলাতেও উন্নয়ন করতে হলে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। নিজে অবশ্য সিপিএমের টান ছাড়তে পারেননি। এবারও ভোটটা দিয়েছেন মহম্মদ সেলিমকে। কিন্তু তাঁর বামপন্থী পরিবার গুজরাট দেখার পর রাতারাতি বিজেপির সমর্থক হয়ে গিয়েছে।  


রিনা দেবীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে অবশ্য ভাবিত নন নরেন্দ্র মোদী। তাই শপথগ্রহণের আমন্ত্রণপত্র চলে গিয়েছে রায়গঞ্জে রিনাদেবীর বাড়িতে। আমন্ত্রণ পেয়ে দৃশ্যতই আপ্লুত রিনাদেবীর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একবার দেখা করবেন। তাঁর কথায়, ''মোদীকে নিয়ে তাঁর দাবি যে অমূলক ছিল না সেটা বিজেপির বিশাল জয়েই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে''।  


আরও পড়ুন- মনিরুলের তাণ্ডবের প্রতিবাদে মানুষ ভোট দিয়েছে, ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি প্রার্থী