মনিরুলের তাণ্ডবের প্রতিবাদে মানুষ ভোট দিয়েছে, ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি প্রার্থী
বুধবার দিল্লিতে গেরুয়া ব্রিগেডের সদস্যপদ নেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগদানের পরই তীব্র অসন্তোষ বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। কর্মী-সমর্থকরা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। নেতাদের কাছেও আসছে ঘনঘন ফোন। ফেসবুকে এবার গর্জে উঠলেন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত। রন্তিদেবের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। মনিরুলের বিজেপি প্রবেশে নিয়ে অসন্তোষের কথা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে সঙ্ঘও। তাদের বক্তব্য, বাংলার মানুষকে মুর্খ ভাবলে ভুল করবে বিজেপি।
বুধবার দিল্লিতে গেরুয়া ব্রিগেডের সদস্যপদ নেন মনিরুল ইসলাম। মনিরুলের যোগদানের পরই তীব্র ক্ষোভ ছড়ায় রাজ্য বিজেপির অন্দরে। জেলা থেকে নেতাদের কাছে ঘনঘন আসতে থাকে ফোন। সূত্রের খবর, সকলেই জানতে চাইতেন, সত্যিই কি তৃণমূল ভাঙানো দরকারি? মানুষ তো তৃণমূলের থেকে পরিত্রাণ চেয়ে বিকল্প হিসেবে বিজেপিকে বেছে নিয়েছে।
ফেসবুকে হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত লিখেছেন, অনুপম হাজরার হাত ধরে মনিরুল ইসলাম প্রবেশ করলেন বিজেপিতে। এতে বিজেপির কতখানি লাভ হল বা হবে তা আমি জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি বীরভূম জেলাটির সঙ্গে আমার সামান্য একটু যোগাযোগ আছে। মনিরুলদের তাণ্ডবের প্রতিবাদেই ওই জেলার মানুষরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। এখন বিজেপি সম্পর্কে তাদের কী ধারণা হবে? তিনি আরও লিখেছেন, আর একটি বিষয়ও আমার জানতে ইচ্ছে করছে। এই অনুপম হাজরা নামক লোকটি ঠিক কী করতে বিজেপিতে ঢুকেছে? ভোটের সময় এই লোকটি অনুব্রত মণ্ডলের গলা জড়িয়ে ধরল। ভোট মিটতে মুনমুন সেনের সঙ্গে ছবি। অবশেষে মনিরুল ইসলামকে সাদরে বিজেপিতে ডেকে আনা । আর কী কী করতে চাইছে অনুপম?
মনিরুলকে নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্যের আরএসএস নেতৃত্বও। জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষস্থানীয় আরএসএস নেতা জানিয়েছেন, বাংলার মানুষকে মুর্খ ভেবে নেওয়াটা অজ্ঞতার পরিচয়। এখানকার মানুষ ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন- বাংলায় আর কাউকে প্রিয়জন না হারাতে হয়, শপথে মোদীকে বলবেন হতদের পরিজনরা