নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্ষা নামতেই ফুলেফেঁপে উঠেছে ময়ূরাক্ষী নদীতে৷ জল বাড়ার কারণে আটকে পড়েছেন প্রায় ১২ টি গ্রামের মানুষ। বীরভূমের মহম্মদবাজার মামোদপুর এলাকায় ময়ুরাক্ষী নদীর তীরে রয়েছে প্রায় ১২টি গ্রাম৷ ময়ূরাক্ষীতে জল বাড়ার কারণে নরসিংহপুর,  বেহিরা,  ভেজিনা,  দুমনি,  গোবিন্দপুর,  বরাম,  কাটুনিয়া,  কুলতোর সহ বেশ কিছু গ্রামে এখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু প্রশাসন নিরুত্তর বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের অভিযোগ, ফি বছর বর্ষা নামলেই ময়ূরাক্ষীতে জল বাড়ার কারণে এভাবেই সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের৷


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্যদিকে মালদাতেও ফুলহারের জল বাড়ছে। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে নির্মীয়মাণ বাঁধ। মালদা জেলায় রতুয়া ব্লকের সূর্যাপুরে জেলা সেচ দফতর বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করে। শুরুও হয়ে গিয়েছিল বাঁধ তৈরির কাজ। প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে এই বাঁধ তৈরি করা হচ্ছিল। আজ সকালে ফুলহার নদীর জলের তোড়ে সেই নির্মীয়মাণ বাঁধ ভেঙে যায়। জল ঢুকতে শুরু করেছে এলাকায়। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।


পাশাপাশি  রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের পীরপুর গ্রামে কালিন্দী নদীর উপর নির্মীয়মাণ শাল কাঠের সেতুও জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বর্ষার সময় কাজ করার জন্যই এই বিপত্তি। মালদা জেলা সেচ দফতর আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, ফুলহারে পাশাপাশি মহানন্দা ও কালিন্দী নদীর জলও বেড়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে গঙ্গার জল তেমন বাড়েনি। উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির ফলে নদীগুলিতে জলস্ফীতি ঘটেছে। সেই জলই ফুলহার ও মহানন্দা দিয়ে বইছে। তবে এখনই বড়সড় বিপদের কোনও আশঙ্কা নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


আরও পড়ুন, নাকা চেকিংয়ের সময়ে গাড়ি তল্লাশি করতেই অবাক পুলিস, ধৃত পঞ্চায়েত উপপ্রধানের ছেলে