নিজস্ব প্রতিবেদন: খাঁচাবন্দি করা যায়নি এখনও। উল্টে গোসাবায় (Gosaba) বাঘের হামলা জখম হলেন এক বনকর্মী। এদিকে কুলতলিতে (Kultali) আবার কোনওমতে প্রাণে বাঁচলেন দুই মৎস্যজীবী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের আনা হল কলকাতায়। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি দু'জনেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সকালে। গোসাবার সাতজেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চরঘেরি এলাকায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঘের (Royal Bengal Tiger) পায়ের ছাপ দেখতে পান তাঁরা। এমনকী, শোনা যায় গর্জনও! এরপর বনকর্মীরা যখন গ্রামের সীমানায় জাল লাগানোর কাজ করছিলেন, তখন এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে চলে যেতে দেখা যায় বাঘটিকে। শুক্রবার দিনভর কিন্তু সেই বাঘটির আর হদিশ মেলেনি।


আরও পড়ুন: Asansol Mine: বন্ধ খনিতে আগুন, ধসে তলিয়ে গেলেন ECL আধিকারিক


এদিন সকালে সাতজেলিয়া চরঘেরি এলাকা থেকে ৩-৮ কিমি দূরে ফের বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পাওয়ামাত্রই ওই এলাকায় পৌঁছে যান বনকর্মীরা। স্থানীয় মিত্রবাড়ি এলাকায় জঙ্গলে তখন জাল লাগানোর কাজ চলছিল। বাঘের হামলার মুখে পড়েন পার্থ হালদার নাম এক বনকর্মী। ফরেস্ট গার্ড বা বনরক্ষী পদে কর্মরত তিনি। আঘাত লাগে চোখে। গোসবা ব্লক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার ছেড়ে দেওয়া হয় ওই বনকর্মীকে।



এদিকে কুলতলির মৈপীঠ থানার নগেনাবাদ গ্রাম থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন খোকন মুন্ডা ও অমল দণ্ডপাঠ নামে দুই মৎস্যজীবী। সঙ্গে ছিলেন দীপক মণ্ডল নামে আরও একজন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খাল পথে নৌকা করে যাচ্ছিলেন ৩ জন। আচমকাই জঙ্গল থেকে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ! থাবার আঘাত ও নখে আঁচড়ে গুরুতর জখম হন অমল দণ্ডপাঠ। রেহাই পাননি খোকন মুণ্ডাও। লাঠি দিয়ে ভয় দেখিয়ে কোনওমতে বাঘটিকে তাড়ান দীপক। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় অমল ও খোকনকে নিয়ে গ্রামে ফেরেন তিনি। কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে এখন চিকিৎসা চলছে বাঘের হামলায় জখম দুই মৎস্যজীবীর।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)