নিজস্ব প্রতিবেদন: সহপাঠী করোনা আক্রন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে রীতিমতো বেকায়দায় কাটোয়ার ক্লাস নাইনের পড়ুয়া। শেষে ডাক পড়ল থানাতেও। চাইতে হল নিঃশর্ত ক্ষমা।অন্যদিকে সন্তান যে সুস্থই আছে, পাড়া প্রতিবেশীকে এটা বোঝাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন কাটোয়ার ক্লাস নাইনের এক পড়ুয়ার বাবা। সবার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল সহপাঠী পড়ুয়ার পোস্ট করে ছবি ও মেসেজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'U ফর Ugly, কুৎসিৎ!' স্কুলপড়ুয়াদের পাঠ্যবই ঘিরে বিতর্ক, কড়া পদক্ষেপ 'স্তম্ভিত' শিক্ষামন্ত্রীর


ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়ার পুরসভার আতুহাট পাড়ায়। দু-জনেই কাটোয়ার কাশীরাম দাস বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র। অভিযোগকারী নবম শ্রেণীর ওই পড়ুয়া জানায়, গতকাল রাতে অনলাইন ক্লাস চলাকালীন এক বন্ধু তাকে একটি মেসেজ পাঠায়, মেসেজে জানায় তাদেরই ক্লাসের আরেক পড়ুয়া তার একটি ছবি পোস্ট করেছে,ছবির উপরে লিখেছে "এই  ছেলেটি করোনা আক্রান্ত, কাটোয়াবাসী সাবধান।" স্বাভাবিকভাবেই এই মেসেজ দেখে ঘাবড়ে যায় অভিযোগকারী পড়ুয়া। ততক্ষণে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়। আর এতেই একাধিক সমস্যায় পড়তে হয় অভিযোগকারী পড়ুয়া এবং তাঁর পরিবারকে।  


আরও পড়ুন: 'অনেকেই উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, সুস্থও হয়ে যাচ্ছেন', উপসর্গ না থাকলে আর টেস্ট নয়


পরিবারের কাছে খবর পৌঁছয়। সমস্যা থেকে বাঁচতে থানার দ্বারস্থ হন পড়ুয়ার বাবা। স্কুলেরই এক সহপাঠী পোস্টটি করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত পড়ুয়া এবং তার বাবাকে পুলিস থানায় ডাকে। অন্য কেউ এই কাজে  প্ররোচনা দিয়েছে কিনা তাও জানতে চায় পুলিস। নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নেয় অভিযুক্ত ওই পড়ুয়া। তবে এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। অনলাইন ক্লাসের দৌলতে এখন ছোটদের হাতে সব সমই মোবাইল। এমন দুষ্টুমি রুখতে বড়দের নজরদারি খুবই দরকার। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।