মৃত্যুঞ্জয় দাস: রাজ্য জুড়ে বালি পাচার নিয়ে কড়া অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ঘোষণাই সার। বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের গোটকানালি ও কুসুমকানালি গ্রাম-সংলগ্ন শিলাবতী নদীর চর থেকে প্রতিদিনই ট্রাক্টরে করে দিব্যি পাচার হয়ে যাচ্ছে টন টন বালি। বিষয়টি সামনে আসতেই দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপ শুরু করেছে শাসক ও বিরোধী-- দুই পক্ষই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: পরিযায়ী পাখির মরসুমেই পাখিহত্যা? ৭ মৃত পাখি ও অস্ত্রশস্ত্র-সহ বন দফতরের হাতে ধৃত দুই শিকারি...


সপ্তাহদুই আগেই মুখ্যমন্ত্রী পুলিস ও প্রশাসনকে বালি পাচার রুখতে সর্বতোভাবে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও প্রশাসনের একেবারে নাকের ডগায় দিনের পর দিন চলছে বালিপাচার! নির্বাক পুলিস ও প্রশাসন? ঘটনা বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার গোটকানালি ও কুসুমকানালি এলাকার। ওই দুই গ্রামের পার্শ্ববর্তী শিলাবতী নদীর পাড়ের মাটির উপরের স্তর সরিয়ে বের করা হচ্ছে নীচের ভালো মানের বালির স্তর। পরে তা খুঁড়ে তুলে ট্রাক্টরে করে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।


না, রাতের অন্ধকারে নয়। প্রকাশ্য দিনের আলোতেই ট্রাক্টরে বালি বোঝাই করে পাচার করা হচ্ছে! পাচার হচ্ছে স্থানীয় এলাকাতেই। মাসের পর মাস ধরে এই অবৈধ বালি পাচারের ফলে নদীগর্ভে এবং পাড়ের অংশে তৈরী হয়েছে বড় বড় গর্ত। অবৈজ্ঞানিকভাবে বালি তোলার ফলে ধীরে ধীরে ভাঙছে নদীর পাড়। একটু একটু করে নদীগর্ভ এগিয়ে আসছে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির দিকে। এই পরিস্থিতিতে নদীগর্ভের বালি পাচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 


আরও পড়ুন: Deadly Road Accident: বীভৎস! পরীক্ষা দেওয়া আর হল না, কলেজে পৌঁছনোর আগেই হাইওয়েতে পিষে গেলেন ৫ পড়ুয়া! মোট মৃত্যু...


শিলাবতী নদীগর্ভ থেকে বালি পাচারের বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দাবি, পুলিস প্রশাসন ও রাজ্যের শাসকদলের প্রত্যক্ষ মদতেই দিনের পর দিন এই বালি পাচার হচ্ছে। পাল্টা এই বালি পাচারে বিজেপি-যোগের দাবি জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)