নিজস্ব প্রতিবেদন : জমিতে বাড়ি তৈরি করতে খোঁড়াখুড়ি চলছিল। এমন সময় বেরিয়ে এল সাতফুট লম্বা ও চার ফুট চওড়া সুড়ঙ্গ। মোহর, সোনাদানা, হিরে জহরত, কী আছে সুড়ঙ্গে? ভাতারের মাহাতা গ্রামে ততক্ষণে কাতারে কাতারে মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী আছে সুড়ঙ্গে? এই প্রশ্ন বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল আশেপাশের গ্রামে। সঙ্গে, সম্ভাব্য উত্তরটাও। 'মোহর বোঝাই কলসি'! মুখে মুখে রটে গেল, গুপ্তধনের কথা। পিলপিল করে ছুটে আসতে থাকেন মানুষ। যদি শিকে ছেঁড়ে, যদি পাওয়া যায় কয়েকটা মোহর! তবে ফাঁকা সুড়ঙ্গে গুপ্তধন মেলেনি, সুপ্ত রয়ে গেছে মোহরের স্বপ্নটা। পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসন নেমে পড়ে সুড়ঙ্গে। গুহা রক্ষায় শেষমেষ পুলিস পিকেট বসে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের মাহাতা গ্রামে।


প্রসঙ্গত, ভাতারের সঙ্গে ইতিহাস যোগ রয়েছে। মনসামঙ্গল কাব্যে বর্ণিত বেহুলার বাপের বাড়ি ছিল এই এলাকায়। লখাইয়ের ঢিবিও এই এলাকায় ছিল বলে মনে করা হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের খননে সামুদ্রিক মাছের হাড় ও পোড়া চাল পাওয়া গিয়েছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে পোড়া চাল প্রায় দুহাজার বছর আগেকার। মুসলিম শাসনকালে এখানে বহু মসজিদ স্থাপন করা  হয়। আবার জৈনধর্মের নিদর্শনও পাওয়া গিয়েছে এখানে।


আরও পড়ুন, পুজোর পর বাড়ি ফেরার কথা ছিল যুবকের, ৬ মাস পর রেললাইনের ধারে উদ্ধার হল কঙ্কাল!


এখন গুপ্তধনের আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন ইতিহাসবিদরা। ইটের কাঠামো দেখে অনেকে বলছেন ইংরেজ আমলে জল বের করার টানেলের কাজে এই ধরণের স্ট্রাকচার তৈরি হয়ে থাকতে পারে। তবে, সব মিলিয়ে জমির মালিকের মাথায় হাত। বাড়ি নির্মাণ আপাতত শিকেয়।