নিজস্ব প্রতিবেদন: দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বিশাল বৈশ্য। বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে ঘুরতে ঘুরতে কিছু একটা চকচক করতে দেখেছিল সে। প্রথমটায় বিশেষ আমল দেয়নি। কেবল কৌতুহলের বশেই মাটি খুঁড়ে একটা তামার কলসি খুঁজে পেয়েছিল সে। স্বাভাবিকভাবেই অল্প বয়সে কৌতুহল বেড়ে যায় আরও। কাদা পরিষ্কার করে কলসির ভিতর হাত ঢোকাতেই বেরিয়ে পড়ে একের পর এক রূপার কয়েন। আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে উঠতেই দিদিকে প্রথম খবরটা জানায় সে। ততক্ষণে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমুণ্ডির পরমেশ্বরপুর এলাকায় রটে যায়, পুকুর পাড়ে খোঁজ মিলেছে গুপ্তধনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



গত শনিবারের এই ঘটনা রীতিমতো বিস্ময়করই বটে। নদিয়ার বিশাল পরমেশ্বরপুরে দিদির বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে খুঁজে পায় ‘গুপ্তধন’। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসও। পুলিস মুদ্রাগুলি উদ্ধার করেছে।


জানা গিয়েছে, মুদ্রাগুলি চতুর্দশ শতকের ইলিয়াস শাহি যুগের। দীর্ঘ কয়েক শতক ধরে ওই পুকুরপাড়েই মুদ্রাগুলি পোঁতা ছিল। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ জানিয়েছেন, ওই মুদ্রাগুলির ওপর লেখার ভাষা আরবি, লিপি নাশখ্।


৩৭০ ধারার অবলুপ্তির চরম বিরোধিতা সিপিএমের, ৭ অগাস্ট প্রতিবাদ দিবসের ডাক


কেবল বাত্সল্যতায় ৪৬টি প্রাচীন রূপোর মুদ্রা খুঁজে পেয়েছে বিশাল। এর গুরুত্ব হয়তো সে নিজেও বুঝে উঠতে পারেনি এখনও। তবে ইতিহাসবিদরা বলছেন, প্রাচীন এই মুদ্রা সেযুগের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসের আঁধার হয়ে রইল।