৩৭০ ধারার অবলুপ্তির চরম বিরোধিতা সিপিএমের, ৭ অগাস্ট প্রতিবাদ দিবসের ডাক

“রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেয়েছিলাম কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে। কিন্তু মোদী সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্তে কাশ্মীর আরও অশান্ত হল।”

Updated By: Aug 5, 2019, 04:31 PM IST
৩৭০ ধারার অবলুপ্তির চরম বিরোধিতা সিপিএমের, ৭ অগাস্ট প্রতিবাদ দিবসের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করায় কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র বিরোধিতায় সিপিএম। সিপিএমের পলিট ব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম এদিন একটি ফেসবুক লাইভ করেন। কাশ্মীর ইস্যুতে কেন্দ্রের ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের একাধিক সমালোচনা করেন তিনি।

 

সিপিএমের বক্তব্য, “এটা সংবিধান গণতন্ত্রের ওপর হামলা। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ করল।” সেলিম বলেন, “ভারতের সঙ্গে থাকার জন্য জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আজ ভারত সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ৩৭০ ধারা রদ করেছে।’’ অমরনাথ যাত্রা বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাতারাতি অমরনাথ যাত্রা বাতিল করেছে। জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নিয়ে সরকার গুজব ছড়িয়েছে।”

তিনি বলেন, “সংসদে নতুন বিল আনতে গেলে ২দিন আগে সবার কাছে প্রতিলিপি দিতে হয়। কিন্তু এই সরকার সেটা দেয়নি।” সিপিএমের অভিযোগ, কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলল। এতে পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদীদের লাভ হবে। কাশ্মীরের যাঁরা গণতন্ত্রকামী মানুষ ছিলেন, তাঁদের কন্ঠ রোধ করা হল। এতে সুবিধা পাবে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

মহম্মদ সেলিম বলেন, “রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেয়েছিলাম কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে। কিন্তু মোদী সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্তে কাশ্মীর আরও অশান্ত হল।”

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে টুইট করেছে সিপিএমও। আগামী ৭ অগাস্ট সারা দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় প্রতিবাদ দিবস পালন করবে সিপিএম।

সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারায় বাড়তি কী সুবিধা পেত জম্মু ও কাশ্মীর? জেনে নিন

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যসভায় কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ও ৩৫ এ ধারা রদ করে কেন্দ্র। এর মাধ্যমেই কাশ্মীরকে পুনর্গঠন করা হবে। তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে জম্মু-কাশ্মীরকে। ১. লাদাখ, ২. জম্মু ও ৩. কাশ্মীর। এরফলে জম্মু-কাশ্মীর আলাদা করে রাজ্যের মর্যাদা হারাচ্ছে। জম্মু কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। লাদাখকে জম্মু কাশ্মীর থেকে আলাদা করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। লাদাখকে বিধানসভাবিহীন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

 

 

.