মদ-গাঁজা খাওয়া নিয়ে সাংসারিক অশান্তি, জামাইবাবুর হাতে খুন শ্যালিকা
কৈলাসের মদ্যপান ও জুয়ার অভ্যাস রয়েছে। সেই নিয়েই অশান্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পারিবারিক বিবাদের সময় ছুরিকাঘাতে শ্যালিকাকে খুনের অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। আহত হয়েছেন স্ত্রী সহ আরও দুজন। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের চাণ্ডুল গ্রামে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কৈলাস সোনির আদি বাড়ি বিহারে। চাণ্ডুলে একটি বাড়িতে থাকতেন তিনি। ওই গ্রামেরই মেয়ে রিনাকে বিয়ে করেন কৈলাস। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। কৈলাসের মদ্যপান ও জুয়ার অভ্যাস রয়েছে। সেই নিয়েই অশান্তি। পাশাপাশি, কৈলাস বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বলেও অভিযোগ। এই নিয়েও দাম্পত্য কলহ চলছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে রিনাকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিতে যায় বাপের বাড়ির আত্মীয়রা। সেই সময় ফের বচসা বাধে। বচসা চলাকালীনই কৈলাস ছুরি নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন শ্যালিকা নমিতা মাঝি। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে স্ত্রী রিনা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রিনার জামাইবাবু কালাচাঁদ মাঝি ভর্তি কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে।
আরও পড়ুন, সিবিআই-কে বিভ্রান্ত করতে উন্নততর ভিওআইপি ও বাউন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন রাজীব!
রিনার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস কৈলাসকে গ্রেফতার করেছে। মৃতার ভাইয়ের অভিযোগ, মদ-গাঁজা খাওয়া নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। অন্যদিকে কৈলাসের দাবি, তাঁর গলা টিপে ধরেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেইসময় নিজেকে বাঁচাতেই ছুরি চালান তিনি।