নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার ভোরে কলকাতা থেকে রায়গঞ্জে ফিরলেন কাশ্মীরে কর্মরত উত্তর দিনাজপুরের ৬ শ্রমিক। স্বস্তি ফিরল পরিবারের লোকজনের মুখ। ঘরে ফিরলেও এখনও আতঙ্কার ছায়া সাবেরুল ইসলাম, সোহেল রানা, মেহফুজ আলি, জাহাঙ্গির আলম, রুবেল রানা ও ইসমাইল হোসেনের চোখে মুখে। ঘরে ফিরে এদের একটাই কথা আর ওখানে নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দিনদুপুরে দিল্লিতে বিজেপি সাংসদের দফতরের সামনে চলল গুলি, গ্রেফতার ১


ঘরে ফিরেছেন কালিয়াগঞ্জের যুবক জাহাঙ্গির আলম। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, সবাই বলছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি খারাপ। ওখানে মাসে তের হাজার টাকা আয় হতো। পরিস্থিতি ঠিক হলে যাওয়ার কথা ভেবে দেখব। ছেলেকে কাছে পেয়ে খুশি জাহাঙ্গিরের মা আহেলা বেগম। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, এতদিন টেনশন ছিলাম। এখন হালকা লাগছে। ওকে ফোনে পাইনি। পরে জানতে পারলাম ওকে পুলিস সঙ্গে করে নিয়ে আসছে।


ঘরে ফিরেছেন ইসমাইল আলিও। তাঁর বাবা ইউসুফ আলি জানালেন, জমি বন্ধক ছিল। ছেলেরা বলল বাইরে থেকে টাকা আনতে হবে। তুমি একলা সামাল দিতে পারবে না। বলছে ওখানে বাইরের লোকজনকে মেরে ফেলছে। প্রশাসনই ব্যবস্থা করে ওদের ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছে। ওখানে আর নিরাপত্তা নেই। বাইরের লোককে দেখলেই মেরে ফেলছে। আর পাঠাব না ছেলেদের।



আরও পড়ুন-বাইরে থেকে তালা, সোনারপুরে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার গৃহবধূর নলিকাটা দেহ


গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের কুলগামের কাটারসুতে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় সাগরদিঘির ৫ শ্রমিকের। জঙ্গি তাদের ঘরে থেকে বের করে গুলিতে এফোঁড ওফোঁড় করে দেয়। সেই ঘটনার পরই কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরা। সোমবার দুপুরে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে হাওড়া ফেরেন ১৩৮ জন শ্রমিক। হেমতাবাদের চৈনগর গ্রামের যুবক সাবেরুল ইসলাম জানালো কাশ্মীরের খানদায় সে একটি প্লাইউড ক্যাক্টরিতে কাজ করত। তাদের সেখান থেকে আনতে এডিজি সঞ্জয় সিং ও সিআইডি এসএসবি অনুপ জয়সোয়ালকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।