নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘন জঙ্গল। সেভাবে কোনও মানুষের যাতায়াত নেই। গা ছমছম ভাব। সেই জঙ্গলের মধ্যেই উদ্ধার হল মানব কঙ্কাল। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের রাজনগরে। উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল কোনও মহিলার বলে অনুমান। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রাজনগর থানার পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, মোবাইল টাওয়ার লোকেশনই ধরিয়ে দিল অর্চনা পালংদার খুনে জড়িত 'তৃতীয় ব্যক্তি'কে!  


বীরভূমের রাজনগর থানার অন্তর্গত আজিমনগর জঙ্গল। জঙ্গলটি ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী। বেশ ঘন জঙ্গলে সেইভাবে কেউ ঢোকে না। জ্বালানির জন্য পাতা, কাঠ কুড়াতে গ্রামের মানুষ দিনের বেলা অনেক সময় জঙ্গলের সামনের অংশে ঢোকে। পাতা, কাঠ কুড়ায়। তারপর ফিরে চলে আসে। জঙ্গলের মধ্যে কেউ থাকত বলে, জানা ছিল না গ্রামবাসীর। ঘন জঙ্গলে বন্য জীবজন্তুর আক্রমণের ভয়। ফলে দিনের আলো ফুরালে ওপথ আর কেউ মাড়াত না।


আরও পড়ুন, মেয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণ নিয়ে ধুন্ধুমার, মেরে মাথা ফাটাল পড়শি


এদিন সকালেও স্থানীয় এক ব্যক্তি পাতা কুড়াতে জঙ্গলের ভিতর প্রবেশ করেন। পাতা কুড়াতে কুড়াতে জঙ্গলের বেশ খানিকটা গভীরে চলে যান তিনি। ঠিক তখনই তাঁর চোখে পড়ে জঙ্গলের মধ্যে 'কিছু একটা' পড়ে রয়েছে। খানিকটা এগোতেই আঁতকে ওঠেন তিনি। দেখেন, জঙ্গলের মধ্যে পড়ে রয়েছে মানুষের মাথার একটি খুলি।


আরও পড়ুন, ১০০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ২০ বছরের যুবকের!


ভয় পেয়ে জঙ্গল থেকে পালিয়ে আসেন ওই ব্যক্তি। গ্রামে ফিরে সবাইকে জঙ্গলের মধ্যে খুলি দেখতে পাওয়ার কথা জানান। তারপরই রাজনগর থানার পুলিসকে ঘটনার কথা জানানো হয়। পুলিস গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মানুষের মাথার খুলি ও বেশকিছু হাড়গোড় উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, খুলি-হাড়গোড়ের পাশেই পড়ে রয়েছে বেশ কিছু রান্না করার সরঞ্জাম, সঙ্গে মহিলাদের কিছু পোশাক।



আরও পড়ুন, হাত-মুখ বেঁধে রাতভর ধর্ষণ ধানক্ষেতে, অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার নাবালিকা


প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, খুলিটি কোনও মহিলার। উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়ও সেই মৃত মহিলার। কিন্তু ওই মহিলার দেহাংশ এই জঙ্গলের মধ্যে কীভাবে এল? খুনের পর দুষ্কৃতীরাই কি ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জঙ্গলে দেহ ফেলে দিয়ে যায়? নাকি জঙ্গলের মধ্যে ওখানেই বসবাস করতওই মহিলা? তদন্তে নেমে সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিস। উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।