কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই চড়ছে রাজনীতির পারদ। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে উঁকি দিচ্ছে নানা জোটের সম্ভাবনা। আর দুই জায়গাতেই আলোচনার কেন্দ্রে কংগ্রেস। রাজ্যে যতই অপ্রাসঙ্গিক হোক না কেন, চুল চেরা লড়াইয়ে কংগ্রেসকে পাশে পেতে মরিয়া বিজেপি ছাড়া সব পক্ষই। তবে রাজ্য কংগ্রেসের স্পষ্ট বার্তা, রাজ্যস্তরে জোট হলে জোট হোক সিপিএমের সঙ্গেই। 


গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের হাত ধরে ভোট ময়দানে নেমে বড় সাফল্য পায় কংগ্রেস। বামেদের ছাড়িয়ে প্রধান বিরোধী হয়ে ওঠে তারা। যদিও বিধায়কদের ধরে রাখতে পারেনি হাত শিবির। একে একে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ধর্মনিরপেক্ষ জোটের নামে কংগ্রেস যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের হাত ধরতে নারাজ তা হাইকম্যান্ডকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিধান ভবনের নেতারা। 


গত মাসেই অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রের হাতে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে হাইকম্যান্ড। এই পট পরিবর্তনকে অনেকে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সূচক বলে মনে করছিলেন। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই সোমেন মিত্র স্পষ্ট করেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোটে না যাওয়ার ব্যাপারে পূর্বসূরির মতোই কড়া তিনি। 



রাজ্যে তৃণমূলকে রুখতে মরিয়া কংগ্রেস নেতারা তাই এবার হাইকম্যান্ডের দ্বারস্থ হয়েছেন। শীর্ষনেতাদের কাছে প্রদেশ নেতৃত্বের আবেদন, ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেডের জনসভায় যেন হাজির না থাকেন দিল্লির কোনও নেতা। ওই ব্রিগেড সমাবেশকে বিরোধী জোটের ক্ষমতা প্রদর্শনের মঞ্চ করে তুলতে ইতিমধ্যেই জোর কদমে ময়দানে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতেও মরিয়া তিনি। 


স্বামীর খুনের বদলা নিতেই পাল্টা খুন স্ত্রীর, আসানসোল শুটআউটকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য


প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, ২০১৯-এর রূপরেখা তৈরি করতে ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী ও এরাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন সোমেন মিত্র। সেখানেই প্রদেশে কংগ্রেসের মতামত স্পষ্ট করে হাইকম্যান্ডের সামনে তুলে ধরবেন তিনি। ওই বৈঠকের ভিত্তিতেই ঠিক হবে ২০১৯-এ এরাজ্যে জোট সমীকরণ। 


মঙ্গলবার বিধানসভা প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রথম সারির নেতা বলেন, ২০১৬-র মতো বামেদের হাত ধরতে সমস্যা নেই। তবে তৃণমূলের সঙ্গে জোট মানব না। 
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেওয়াল লিখন বেশ স্পষ্ট। যে তৃণমূল ক্রমশ এরাজ্যে কংগ্রেসকে ক্ষীণকায় করে তুলেছে তার সঙ্গে জোটে যেতে রাজি নন অবশিষ্ট কংগ্রেসিরা। তাই রাজ্যে মমতা বিরোধী লড়াইকে কেন্দ্রে রাহুল গান্ধীর মোদী বিরোধী লড়াইয়ের সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা।