নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে পরিবর্তন এসেছিল। কিন্তু তাঁদের ভাগ্যে কোনও পরিবর্তন এল না। কেটে গেল দশটা বছর। চাকরির জন্য এখনও অপেক্ষাই সার মঙ্গলকোটের শহিদ পূর্ণিমা মাঝির পরিবারের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'দিদি' (মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)-র প্রতি অবিচল আস্থা নিয়েই অবশ্য আজও চাকরি পাওয়ার আশায় দিন গুনছে মঙ্গলকোটের (mangolekote) খেরুয়া গ্রামের শহিদ পূর্ণিমা মাঝির ছেলে বছর বত্রিশের মাখন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যার সময় বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে সিপিএমের (cpm) লোকদের বোমা বাঁধতে দেখে ফেলেন পূর্ণিমা। তারপর হঠাৎ বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে ২০০৫ থেকেই তৃণমূলের (tmc) সমর্থক পূর্ণিমার বাড়িই। পূর্ণিমা তখন বাড়ির উঠানে। অতর্কিত বোমা-হামলা থেকে সেদিন নিজেকে বাঁচাতে পারেননি পূর্ণিমা। কানের পাশে আঘাত লাগে তাঁর। পরে সেই আঘাতের জেরেই মৃত্যু হয়।


পূর্ণিমার পরিবারের দাবি, পূর্ণিমা সিপিএম সমর্থকদের বোমা বাঁধতে দেখে ফেলার 'অপরাধে'ই রাতের অন্ধকারে বোমার হামলায় আক্রান্ত হতে হয় তাঁর পরিবারকে। ঘটনার পর তৃণমূলের বহু নেতাকর্মী মঙ্গলকোটে এসেছিলেন, দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের পাশে। সেই সঙ্গে দল ক্ষমতায় এলে তাঁর পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তাঁরা। 


কিন্তু ক্ষমতায় আসার দশ বছর অতিক্রম করেছে তৃণমূল। এখনও চাকরি পাননি শহিদ পরিবারের কোনও সদস্য। পূর্ণিমার স্বামী শিশির জানান, তাঁরা দিদির উপর ভরসা করেই আছেন। তাঁর ছেলে মাখন দিন গুনছে চাকরি পাওয়ার।  


কেন এখনও চাকরি পাননি মাখন?


পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল সম্পাদক প্রদীপ চট্টরাজ জানান, শহিদ পূর্ণিমা মাঝির পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। সরকারের সমস্ত রকমের সুযোগ-সুবিধাও তাঁদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পূর্ণিমার ছেলে অষ্টম শ্রেণি পাশ না হওয়ায় তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করতে কিছু অসুবিধা হয়েছে। তবে বিষয়টি মাথায় আছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি করে দেওয়ার চেষ্টাও চলছে।


আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর উপর অগাধ আস্থা রেখেই চাকরি পাওয়ার আশায় দিন গুনছে পূর্ণিমা মাঝির পরিবার।


Also Read: LIVE: স্বাস্থ্যসাথীর ভুল ত্রুটি নিয়ে তদারকিতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নয়া কমিটি: মমতা