নিজস্ব প্রতিবেদন : চোরের উপর বাটপারি হয়। কিন্তু পুলিসকেই গ্রেফতার করল পুলিস এমনটা শুনেছেন কখনও? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

না হেঁয়ালি নয়, কিছুটা এমনই ঘটেছে বসিরহাটে। চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বসিরহাট এসপি অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল বসিরহাট থানারই পুলিস। 


সূত্রের খবর, পুলিশ সুপারের নামে ভুয়ো মেল আইডি তৈরি করেছিলেন ওই পুলিসকর্মী। তারপর তা থেকেই পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের প্রসন্ন বসাক নামে এক যুবককে মেল করেন তিনি। সেখানে সরাসরি পুলিসে চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। 


এদিকে প্রসন্ন বসাক নামের এই যুবক বেশ কয়েক বছর আগে পুলিসের চাকরির পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হন। তিনি দেখেন এসপি-র নামের  ইমেলে বলা হয়েছে "আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে আপনাকে বসিরহাটে জেলা পুলিসে নিয়োগ করা হবে। বসিরহাট পুলিস সুপার অফিসে এসে যোগাযোগ করুন।"


মেল দেখেই সন্দেহ হয় ওই যুবকের। এমনভাবে আবার সরকারি চাকরির নিয়োগ হয় নাকি! তত্ক্ষণাত্ স্থানীয় থানায় গোটা বিষয়টি জানান তিনি। খবর যায় বসিরহাট থানায়। তদন্তে শেষমেশ ধরা পড়েন এসপি অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। 


তবে, এর পরেই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ে। এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৭ সালে নদিয়ায় থাকাকালীনও তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো মেল করে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। সে সময়ে প্রায় ৩ মাস বন্দিও ছিলেন ওই পুলিসকর্মী। তবে শেষমেশ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় ও পরিজনদের অনুরোধের ভিত্তিতে তাঁকে উপরমহল থেকে শর্তসাপেক্ষে পুনর্বহাল করা হয়। 


নদিয়ার পর বারাসাত থানা হয়ে বছরখানেক আগে বসিরহাটে বদলি হয়ে আসেন তিনি। কিন্তু, এখানে এসেও পুরনো অভ্যাসে ফিরে যান জয়ন্ত। প্রায় ৭-৮ জনকে এভাবেই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। 


এখনও পর্যন্ত কোনও টাকার লেনদেন হয়েছিল কিনা জানা যায়নি। তবে, প্রাথমিকভাবে পুলিসের ধারণা আরও অনেকে জড়িয়ে থাকতে পারে এই প্রতারণা চক্রে। সর্ষের মধ্যেই আরও ভূত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ওই পুলিসকর্মীকে বসিরহাট মহুকুমা আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৮ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : দেড় লাখ চিনা সিসিটিভি ঘুরছে দিল্লির রাস্তায়, ঘরে বসেই ভারতে নজরদারি চিনের!