SSC Scam: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভুয়ো প্রার্থী তালিকায় নাম! ঘরে মিলল শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনেক ওয়াবসাইটে ওই ১৮৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করার। সেই তালিকা প্রকাশও করে দেয় কমিশন। ওই তালিকা দেখার পর থেকেই টুম্পা মুষড়ে পড়েন বলে ওই আত্মীয়ের দাবি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের এক ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক শিক্ষিকার মৃতদেহ। নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন টুম্পারানি মণ্ডল পড়ুয়া(৩০) নামে ওই তরুণী। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। কেন এই আত্মহত্য়া তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে টুম্পার এক আত্মীয় সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হওয়া মামলায় বেশ মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে নবম-দশমে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন এমন ১৮৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। সেইরকম একটি তালিকা ভাইরাল হয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেই তালিকায় টুম্পার নাম ছিল। তাতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন-আগামিকালের মধ্যে নবম-দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করুন, কমিশনকে নির্দেশ হাইকোর্টের
ওই তালিকা দেখার পর থেকেই টুম্পা মুষড়ে পড়েন বলে ওই আত্মীয়ের দাবি। এরপর শনিবার স্কুলে যাননি টুম্পা। রবিবার সন্ধেয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির টেটে পাস করেন টুম্পারানি। এরপর ২০১৯ সালে নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠে বাংলার শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের বুরুন্ডা গ্রামে তাঁর বাপের বাড়ি।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনেক ওয়াবসাইটে ওই ১৮৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করার। সেই তালিকা প্রকাশও করে দেয় কমিশন। রবিবার বিকেলে বাজার গিয়েছিলেন টুম্পার স্বামী সুবীর পড়ুয়া। কিছুক্ষণ পরে ঘরে ফিরে ডাকাডাকি করেও স্ত্রীর সাড়া পাননি। পরে জানলা দিয়ে স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।