নিজস্ব প্রতিবেদন: বছরখানেক ভোটই করতে হবে না। প্রশাসকই পুরনিগম চালাবেন। বৃহস্পতিবার হাওড়া এবং রাজ্য পুর নিগম আইন সংশোধন করে এমনই ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিল বিরোধীরা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, অথচ ভোট হয়নি। এমন পুরনিগমের ক্ষেত্রে নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য এতদিন প্রশাসক বসানোর সংস্থান আইনে ছিলই। কিন্তু প্রশাসক বসানো যেত ৬ মাস পর্যন্ত। তারমধ্যেই ভোট করে নতুন বোর্ড গঠন করতে হতো। এবার এই মেয়াদই আরও ৬ মাস বাড়িয়ে একবছর করছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পেশ হল দুটি বিল,  হাওড়া পুরনিগম এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুরনিগম সংশোধনী বিল। এর ফলে হাওড়া ছাড়াও শিলিগুড়ি, আসানসোল, দুর্গাপুর, চন্দননগর এবং বিধাননগর পুরনিগমে প্রয়োজনে একবছর পর্যন্ত প্রশাসক বসানো যাবে। 



এনিয়েই সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, এটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। হিটলারি কায়দায় শাসন চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভায় ভরাডুবির পর পুরভোট করানোর সাহস পাচ্ছেন না।   


সমালোচনা উড়িয়ে সরকারের হয়ে সাফাই দিয়েছেন পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়। কলকাতা পুরনিগমের মতোই এবার থেকে রাজ্যের অন্য পুরনিগমগুলিতেও কাউন্সিলর না হয়েও কেউ মেয়র হতে পারবেন। তবে ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও একটি ওয়ার্ড থেকে জিতে আসতে হবে। এ জন্যও এদিন সংশোধনী এনেছে সরকার। তবে বর্ষীয়ান আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এই সংশোধনীগুলিতে আদালতে মামলা  হলে সমস্যায় পড়তে পারে রাজ্য। কারণ, সংবিধানের ২৪৩-এর ইউ ধারায় এভাবে প্রশাসক বসানোর কোনও সংস্থানই নেই। 


আরও পড়ুন- আমি জন্ম থেকে মুসলিম, এখনও তাই, সপাটে জবাব নুসরতের