নিজস্ব প্রতিবেদন:  দিঘায় গাড়িচালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। সন্দেহে তালিকার বাইরে রাখা হচ্ছে সুজয়-পায়েলকে। বরং সেই তালিকায় উঠে আসছে টিঙ্কু মণ্ডলের নাম। এই পিঙ্কুর সঙ্গে সুজয়-পায়েলের সম্পর্কও কী, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। টিঙ্কু কি আদৌ সৌরভ দত্তের শ্যালক অর্থাত্ পায়েলের ভাই কিনা, তা ভাবাচ্ছে পুলিসকে। উল্লেখ্য, টিঙ্কুকে প্রথমে সুজয় নিজের শ্যালক বলেই পরিচয় দিয়েছিল পুলিসের কাছে। গাড়িচালক অভিজিত দত্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় টিঙ্কুর কোনওভাবে হাত থাকতে পারে বলেও মনে করছে পুলিস। কারণ ঘটনার দিন টিঙ্কু ও অভিজিত একই ঘরে ছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পায়েল বৌমা, বিয়ের ছবি দেখিয়ে প্রমাণ দিল শ্বশুরবাড়ি


শুক্রবার সকালে দিঘার একটি হোটেলর ঘর থেকে হাওড়ার লিলুয়ার পেশায় গাড়িচালক অভিজিত দত্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই জোরালো হয়ে ওঠে ত্রিকোণ প্রেমের সম্ভাবনার কথা। মাত্র ৭ দিন আগে অভিজিতকে গাড়িচালক হিসেবে নিযুক্ত করলেও,  তাঁকে নিয়েই দিঘায় এসেছিলেন সুজয় দত্ত। এমনকি, অভিজিতকে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপানের আসরও বসিয়েছিলেন সুজয়।


অভিযোগ, মত্ত অবস্থাতেই সুজয়ের 'স্ত্রী' পায়েলের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন অভিজিত। যারপরই তাঁকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন সুজয়। এরপরই এদিন সকালে অভিজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে এই ঘটনায় পুলিসের সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে সুজয়-পায়েলের প্রতি। তাঁর বৈবাহিক সম্পর্কের সত্যতা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। কিন্তু তারপরও সুজয়-পায়েলের বিয়ের ছবি দেখিয়ে পুলিসের সেই সন্দেহ দূর করে সুজয়ের পরিবার।


এরপরই পুলিস পিঙ্কুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে হোটেলে একই রুমে ছিলেন টিঙ্কু ও অভিজিত্।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সময়ে অভিজিতের দেহ উদ্ধার হয়, সেসময় হোটেলের ঘরে ছিলেন না টিঙ্কু। তিনি বাইরে ছিলেন। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। ওই দম্পতির সঙ্গে টিঙ্কুর কী সম্পর্ক, তাও স্পষ্ট নয় এখনও।