তথাগত চক্রবর্তী: টোপে পা দিলেই সর্বস্বান্ত। এবার প্রতারণা চক্রকে পাকড়াও করল পুলিস। সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দারা অধিকাংশই মৎসজীবী। মাছ ধরার কারণে তাদের মাঝেমধ্যেই বাঘের হামলার মুখে পড়তে হয়। সেই হামলা থেকে বাঁচতে তারা ঠাকুরকে প্রতিনিয়ত স্মরণ করেন। তাদের সেই বিশ্বাসকে পুঁজি করেই স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করে তাদের সোনার ঠাকুর বিক্রি করার প্রলোভন দেখানো হত। তাদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য ঠাকুরের হাত তাদেরকে দেওয়া হত যা সোনার হত। সেই হাত তারা কোনও সোনার দোকানে গিয়ে দেখিয়ে পরীক্ষা করালে তাদের আরও বিশ্বাস জন্মাতো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Bengal Weather: ভ্যাপসা গরম কাটিয়ে ফের স্বস্তির বৃষ্টি! কবে থেকে ভিজবে বাংলা?


সেই সুযোগ নিয়েই মোটা টাকায় সোনার ঠাকুর বিক্রির প্রলোভন দেওয়া হত। বিশ্বাস জন্মে যাওযায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে অনেকেই এই ঠাকুর কিনতে রাজী হতেন। তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় যখন তারা প্রতিমা নেওয়ার জন্য হাজির হতেন তখন তাদের সর্বস্ব লুঠ করে পালিয়ে যেত দুষ্কৃতীরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগে এই ধরণের প্রতারণা চক্রের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছিল এই এলাকায়। তখন পুলিস অভিযান চালিয়ে এই চক্রে জড়িত থাকায় মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করে। তারপর এই প্রতারণা চক্র কিছুদিন বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন।


এই বিষয়ে কুলতুলি থানায় একাধিক অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এই প্রতারণা চক্রকে ধরতে কুলতুলি থানার আইসি অর্ধেন্দু শেখর দে সরকারের নেতৃত্বে একটি ফাঁদ তৈরি করা হয়। কাস্টমার সেজে ঠাকুর কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী বুধবার দুপুরে জামতলা মোড়ে দেখা করার সময় স্থির হয়। আগে থেকেই সিভিল পোশাকে মোতায়েন ছিল পুলিস। হঠাৎ করেই জায়গা পরিবর্তন করা হয়। জালাবেড়িয়া মোড়ে দেখা করার কথা বলা হয়। গ্রাহক জালাবেড়িয়া বাজারে পৌঁছালেই পুলিসও পৌঁছে যায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে পালানোর ছক করে দুষ্কৃতীরা।


বাইকে ধাওয়া করে কুলতুলি থানার পিসি ইনচার্জ এক অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। তার নাম তালিমুল। ধৃত এই চক্রের মুল পান্ডা বলে জানা গিয়েছে।  তার কাছ থেকে একটি ওয়ান সাটার, লাইভ কার্তুজ, একটি বাইক ও দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে আজ বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিস। 


বারুইপুর পুলিস জেলার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, এই ঘটনায় একটি বড় চক্র রয়েছে। তারা ঘটনার তদন্ত করছেন। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এলাকায় এই প্রতারণা চক্র ফের সক্রিয় হওযায় পুলিসকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কুলতুলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল। 



আরও পড়ুন, Howrah: হাওড়া থেকে বাবুঘাট বা শোভাবাজার লঞ্চ সার্ভিসে কী সংকট ঘনিয়ে এল? কী বলছেন কর্মীরা...


(Zee24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)