Howrah: হাওড়া থেকে বাবুঘাট বা শোভাবাজার লঞ্চ সার্ভিসে কী সংকট ঘনিয়ে এল? কী বলছেন কর্মীরা...
Hooghly Nadi Jalpath Paribahan Samabay Samiti: আগে সংস্থাটি কুড়িটির বেশি লঞ্চ চালালেও এখন তাদের বারোটি লঞ্চ চলছে। ফলে হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যতগুলি ট্রিপ হত এখন তার চেয়ে অনেক কমসংখ্যক ট্রিপ হচ্ছে। শুধু যে লঞ্চের সংখ্যা কমেছে তা নয়, সমস্যা রয়েছে পরিকাঠামোয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নানা সমস্যায় জর্জরিত হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। সংস্থার বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। রয়েছে পরিকাঠামোগত সমস্যা। কমেছে ভেসেল, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেই। জানা গিয়েছে, আর্থিক অনটনে রীতিমতো ধুঁকছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: Purulia: বিপর্যয়ের জোড়া ফলা! কোথাও সেতুই নেই, ভেলায় নদী পারাপার; কোথাও ধস সড়কে...
হাওড়া স্টেশন লাগোয়া হাওড়া ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাটে লঞ্চ পরিষেবা দেয় এই হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। সংস্থাটি হাওড়া থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চালায়। রুটগুলির মধ্যে রয়েছে-- শোভাবাজার-বাগবাজার, চাঁদপাল, ফেয়ারলি প্লেস, বাবুঘাট। হাজার হাজার যাত্রী হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে নিত্য যাতায়াত করেন এই সংস্থার লঞ্চে চেপেই।
কিন্তু এহেন পরিবহণ সংস্থা এখন সংকটে। সবচেয়ে বড় সংকট এদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সমিতির কর্মীরা জানান, গত তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা, পাচ্ছেন না কোনও আর্থিক সুযোগ-সুবিধাও। সম্প্রতি এদের লঞ্চের সংখ্যাও কমেছে। জানা গিয়েছে, আগে সংস্থাটি কুড়িটির বেশি লঞ্চ চালালেও এখন তাদের বারোটি লঞ্চ চলছে। ফলে হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে আগে যতগুলি ট্রিপ হত এখন ট্রিপ তার চেয়ে অনেক কম হচ্ছে। যাত্রীদের নিত্যদিন অসুবিধা হচ্ছে। শুধু যে লঞ্চের সংখ্যা কমেছে তা নয়, হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির কর্মীরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ লঞ্চের অবস্থাই ভালো নয়, দীর্ঘদিন ঠিকঠাক মেরামতি না হওয়ায় লজঝড়ে অবস্থা সেগুলির। সংস্থার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় সেগুলিকে ঠিকমতো সারানো যাচ্ছে না। ফলে লঞ্চকর্মীরা তো বটেই, এ ছাড়া নিত্যযাত্রীরাও প্রাণ হাতে করেই যাতায়াতে একরকম বাধ্য হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Malbazar: মালবাজারের চা-বাগানের নালা থেকে চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার...
রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, সংস্থাটিকে বাঁচাতে তাঁর দফতর থেকে আগে ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে যে অভিযোগ উঠছে তা অত্যন্ত গুরুতর। এ ব্যাপারে পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে আগামী ১ সেপ্টেম্বরে আলোচনা হবে।