নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ফোন ট্যাপ করছে ভাইপোর পুলিস।' মহিষাদলের জনসভা থেকে নাম না করে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর হুঁশিয়ারি, 'এই অত্যাচার চলবে না। আদর্শ নির্বাচন বিধি চালু হতে দিন।' ভোটের মুখে বড়সড় ভাঙন তৃণমূল শিবিরেও। এদিন শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন জেলা পরিষদ সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, ব্লক সভাপতি- সহ দেড়শোজন তৃণমূল (TMC) নেতা ও কর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: #GetWellSoonDada: হাসপাতালে সৌরভ, ফোনে খোঁজ নিয়ে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস শাহের


উল্লেখ্য, তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে টানাপোড়েন চলেছে দীর্ঘদিন। দলের তরফে মানভঞ্জনের চেষ্টাও যে হয়নি, তাও নয়।  কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ধরে রাখা যায়নি। তিনি বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে শাসকদলের ভাঙন অব্যাহত। এমনকী, পদ্ম ফুটেছে কাঁথির অধিকারী পরিবারেও। গতকাল দাদার হাত ধরে গেরুয়াশিবিরে নাম লিখিয়েছেন অধিকারী বাড়ি ছোট ছেলে, শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু। শনিবার শুভেন্দুর সভা ছিল মহিষাদলের দ্বারিবেরিয়া এলাকায়। সেখানেও দলবদল করলেন ১৫০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। কেউ জেলা পরিষদ সদস্য, তো কেউ আবার পঞ্চায়েত প্রধান। বাদ গেলেন না শাসকদলের ব্লক সভাপতিও। 


এদিন জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়েও আগাগোড়া তৃণমূলকে (TMC) চড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ভাইপো সম্বোধনে ফের নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Abhishek Banerjee)। বলেন, 'তোলাবাজ ভাইপো হটাও বলেছিলাম। খুব গায়ে লেগে গিয়েছিল। এই তো আস্তে আস্তে এগোচ্ছে, লালা, এনামূল। কে এই বিনয় মিশ্র? পশ্চিমবঙ্গের যুবা তৃণমূল নেতা। তাঁর চারটি বাড়িতে ঢুকে পড়েছে সিবিআই। সভাপতি তোলাবাজ ভাইপো। আমি ভুল কিছু বলিনি।'  উল্লেখ্য, গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে পেশায় ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩টে ল্যাপটপ ও ৩টে স্মার্টফোন। তা থেকেই মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র বলে খবর।


আরও পড়ুন: সারদা মায়ের জন্মোত্সবে এবার সর্বসাধারণ প্রবেশ বন্ধ বেলুড় মঠে, যুব উত্সবও হবে ভার্চুয়ালি


শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, 'আমি বিজেপি গিয়েছে কেন? আমি চাই কলকাতা ও দিল্লিতে একই দলের সরকার থাকুক। একই দলের সরকার ছাড়া শিল্প আসবে না, বেকার সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের রাজ্যের উন্নয়ন হবে না। ভোট এলেই বলে শঙ্করপুরে বন্দর হবে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিল। যা জমিনীতি, একটাও শিল্প হবে না। চপশিল্পও হবে না।'  তৃণমূলকে 'আমফানের টাকা চোর' বলে কটাক্ষ করে 'ভোটের সময়ে তালিকা প্রকাশ' করার হুঁশিয়ারিও দেন শুভেন্দু।