নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলে ফের ভাঙন। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ নীলমাধব দাস অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর-২ ব্লকের পঁচেট অঞ্চল তৃণমূল (TMC) সভাপতি ছিলেন নীলমাধব দাস অধিকারী। এদিন সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। একইসঙ্গে দলত্যাগও করেন। ফলত ফের ধাক্কা রাজ্যের শাসকদলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, এর আগেই পটাশপুর-২ ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি ও আড়গোয়াল অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপরেশ সাঁতরা পদত্যাগ করেন। এবার দলীয় অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীলমাধব দাস অধিকারী। ইস্তফা দেওয়ার পর কার্যত দলীয় কর্মীদের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন নীলমাধব দাস। তিনি বলেন, "বহু সমস্যার মধ্যে ছিলাম। দলের কর্মীদের জানানো সত্ত্বেও কোনও সহযোগিতা পাইনি। তাই দলত্যাগ করলাম। মিটিং-মিছিল করলেও কার্যত বলা হচ্ছিল না আমাকে। জানতেও পারছিলাম না। সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত।" 


আরও পড়ুন, ভোটে MIM-এর সঙ্গে জোট জল্পনা জিইয়ে রাখলেন Yechury, 'সেক্যুলারজিম' নিয়ে কটাক্ষ Dilip-এর


তবে তৃণমূল ছেড়ে আগামী দিনে তিনি বিজেপিতে (BJP) যোগ দেবেন কিনা, সে প্রশ্নে অবশ্য ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন নীলমাধব দাস। বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এখনও আমি এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি আগে সমস্ত আমার পথ ছেড়ে দিই। তারপর বিবেচনা করব।" অর্থাৎ বিজেপিতে যোগদান করার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু না বললেও, একটা জল্পনা যে তিনি উস্কে দিলেন তা বলাই বাহুল্য।


উল্লেখ্য, শিবির বদলের পর কাঁথিতে প্রথম রোড শো থেকেই দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে ৩৫টি আসন জেতার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর স্পষ্ট হুঙ্কার, "গোপীবল্লভপুরের দিলীপ ঘোষ আর নন্দীগ্রামের শুভেন্দু দুজনে হাত মিলিয়েছি। লালমাটি আর জঙ্গলমহলের মাটি হাত মিলিয়েছে। যেতে তোমাকে হবেই। পদ্ম ফুটিয়ে আমি ঘুমোতে যাব। আমি আর দিলীপ ঘোষ জঙ্গলমহলে ৩৫টা আসব জেতাব।"


আরও পড়ুন, রাজ্যে হিংসা-ই মমতাজির পতনের কারণ হতে পারে : Asaduddin Owaisi