সুতপা সেন: ২০২০ সালের জানুয়ারিতেই ভাঙা হবে টালা ব্রিজ। রেললাইনের ওপরের অংশ ভাঙবে রেল, ব্রিজের বাকি অংশ ভাঙবে পূর্ত দফতর। আগামীকালই যৌথভাবে ব্রিজ পরিদর্শনে যাবে রেল এবং পূর্ত দফতর। সঙ্গে থাকবেন পুলিস কর্তারাও, তাঁরা ফিরে এসে সামগ্রিক রিপোর্ট দেবেন। শুক্রবার নবান্নের বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আলাদা ভাবে নকশা জমা দেবে রেল এবং পূর্ত দফতর। অন্যদিকে এক বছরের মধ্যেই সেতু তৈরির কাজ শেষ করতে হবে বলেই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও রেল এবং পূর্তদফতর কাজ সম্পূর্ণ করতে ৩ বছর সময় চেয়েছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্রিজ মেরামতির কাজ শেষ করতে হবে।


এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক মাথায় রেখেই শুরু করতে হবে ব্রিজ ভাঙার কাজ। ইতিমধ্যেই শুরু হবে মাটি পরীক্ষা, নকশা তৈরির কাজ ইত্যাদি। সেতু ভাঙার কাজ শুরু হবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে।


আরও পড়ুন: টালা ব্রিজের জটে নাস্তানাবুদ নিত্যযাত্রীরা, আজ ফের নবান্নে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর


দুর্গা পুজোর আগেই টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেয় রাইটস। এই রিপোর্টে বলা হয়, দীর্ঘদিন মেরামতি না হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে টালা ব্রিজ। ফলে যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে ব্রিজটি। আর এই পরিস্থিতিতে সামাল দিতেই পুজোর মুখেই তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় টালা ব্রিজে বাস চলাচল। শুধুমাত্র ছোটো গাড়িকে ছাড় দেওয়া হয়। এদিকে, টালা ব্রিজের মতো অন্যতম ব্যস্ত রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। আর এই সমস্ত দিক মাথায় রেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।