সন্দীপ ঘোষচৌধুরী: রোজ আসেন না, স্কুল চালান অন্য এক যুবক, শিক্ষিকা আবার নাকি তাঁকে পয়সা দেন! ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুল পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাস্থল, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঠিক কী? বড় রাস্তা থেকে আরও কয়েক কিমি পথ পায়ে হেঁটে যেতে হয়। কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের কোশীগ্রাম পঞ্চায়েতে  শুনিয়া গ্রামের  রয়েছে একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র। সেখানে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠন চলে। রোজ নিয়ম করে স্কুলেও যায় পড়ুয়ারা। 


২০০৭ সালে ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন অতসী বিশ্বাস নামে জনৈক এক মহিলা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাসে নাকি  দু'একবার স্কুলে আসেন তিনি!  শুধু তাই নয়, শিক্ষিকার অনুপস্থিতিতে স্কুল চালান ফিরোজ মল্লিক নামে স্থানীয় এক যুবক। এমনকী, পড়ুয়াদের ক্লাসও নেন তিনি। কেন? ফিরোজকে স্কুলের দায়িত্ব সামলানোর জন্য অতসী টাকা দেন বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ি, তারপরেও মায়ের নাম আবাস যোজনায়!


এদিকে ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটি যে ফিরোজই চালান, সেকথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। অতসী বিশ্বাসের দাবি, তিনি অসুস্থ। তাই সাহায্য করার জন্য ওই যুবককে রেখেছেন। এভাবে কি স্কুল চলতে পারে? ছেলেমেয়েরা কি সঠিক শিক্ষা পাবে? প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা ও গ্রামবাসীরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে স্কুল পরিদর্শক।


এর আগে, পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক শিক্ষিকার দেহ। মৃতের নাম টুম্পারানি মণ্ডল। নন্দীগ্রামের  দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। কীভাবে মৃত্যু? পরিবারের লোকেদের দাবি, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলার কারণে মানসিক চাপে ছিলেন টুম্পা। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে নবম ও দশম শ্রেণিতে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। সেই তালিকায় নাকি নাম ছিল ওই শিক্ষিকারও! মানসিক চাপেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)