মায়ের চোখের সামনেই জলে ডুবে মৃত্যু হস্তিশাবকের
স্থানীয় ও বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই গোয়ালতোড়ের ধরমপুর, কদমডিহা প্রভৃতি এলাকার জঙ্গলগুলিতে প্রায় ২০-২১ টি হাতির একটি পাল আস্তানা গাড়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মায়ের সঙ্গে নদী পেরোতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক হস্তিশাবকের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড়ের চাউলি এলাকায়।
স্থানীয় ও বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই গোয়ালতোড়ের ধরমপুর, কদমডিহা প্রভৃতি এলাকার জঙ্গলগুলিতে প্রায় ২০-২১ টি হাতির একটি পাল আস্তানা গাড়ে। এলাকায় তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। সেই হাতির পাল টি গতকাল রাত্রীতে দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। প্রথম দল টিতে প্রায় ১০ -১২ টি হাতি ধরমপুর কদমডিহার জঙ্গলের দিক থেকে গোয়ালতোড় আর শাঁখাভাঙ্গার মাঝে মাঠে তমাল নদীর চরে খাবার সন্ধানে বেরিয়ে নদী পেরিয়ে কাঁকড়িশোলের দিকে চলে যায়।
পরের দলটি প্রায় রাত্রী একটা নাগাদ তারাও খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে ওই তমাল নদীর চরের মাঠে। এই দলেই ছিল একটি এক সপ্তাহ বয়সের একটি হস্তি শাবক। এই হাতির পালটিও তমাল নদী পেরোতে গিয়ে নদীর জলের তোড়ে শাবকটি ভেসে চলে যায়। অন্যান্য হাতি গুলি তাকে তোলার অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। পরে ভোরের বেলায় তারা হস্তিশাবকটিকে ফেলেই জঙ্গলে চলে যায়। পরে এদিন সকালে স্থানীয়রা দেখেন কিছুটা দুরে নদীর মাঝে মাছ ধরার বাঁধানো আঁটে আটকে পড়ে আছে। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মৃত হস্তিশাবকটিকে দেখতে ভিড় জমে যায় তমাল নদীর পাড়ে।
রবিবার থেকে নিম্নচাপ! মহালয়া, বিশ্বকর্মা পুজোর সপ্তাহে রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস
খবর দেওয়া হয় গোয়ালতোড় থানায় এবং গোয়ালতোড়ের রেঞ্জ অফিসে। বনদফতরের কর্মীরা এসে হস্তিশাবকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গোয়ালতোড় রেঞ্জের রেঞ্জার খুরশিদ আলম গাজী জানান, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে ওই হস্তি শাবকটির ।