Goddess Tara: মা তারা স্বয়ং আজ উপোস করেন, বসেন পশ্চিম দিকে মুখ করে! কেন জানেন?
GoddessTara: এই তারাপীঠ সাধক বামাক্ষ্যাপার সাধনায় উজ্জ্বল। তিনি ছিলেন মা তারার একনিষ্ঠ সাধক। তারাপীঠ সর্বাংশেই এক পুণ্যক্ষেত্র। এহেন পুণ্যক্ষেত্রে আজ এক পুণ্যতিথি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মা তারাকে ঘিরে কাহিনির শেষ নেই, শেষ নেই মিথ ও পুণ্যকথার প্রবাহের। এরই মধ্যে বিশেষ কয়েকটি দিনে বিশেষ পুজো আচার পালন করা হয় তারাপীঠে মা তারার মন্দিরে। তেমনই একটি দিন আজ। আজ মানে, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথি। বিশেষ কেননা, এই শুক্লা চতুর্দশী তিথিতেই তারাপীঠে তারা মায়ের আবির্ভাব হয়েছিল বলে মনে করা হয়। আর তাঁর সেই আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যেই এ দিন বিশেষ পুজো, আরাধনা ইত্যাদি। দিনভর বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সমাগম হয়ে বহু ভক্তের।
বাংলায় তখন পাল রাজত্ব চলছে। সেই সময়ে সওদাগর জয় দত্ত স্বপ্নে মায়ের নির্দেশ পেয়ে তারাপীঠে মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কথিত আছে তিথিটি ছিল, আশ্বিনের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী। সেই উপলক্ষে প্রতি বছর চতুদর্শীর দিনেই তারাপীঠে বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়। অন্য একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়-- মা তারার বোন হলেন মা মৌলাক্ষী। ঝাড়খণ্ডের মলুটিতে এই মা মৌলাক্ষীর অধিষ্ঠান। সাধারণের বিশ্বাস, চতুর্দশীতেই দেখা হয় দুই বোনের। মলুটীর মা মৌলাক্ষী পশ্চিমমুখী। তাই মা তারাকেও এদিন পশ্চিম দিকে মুখ করে বসানো হয়।
আরও পড়ুন: 'প্রকৃত উন্নতি ২০১৪ এরপর থেকেই হয়েছে,' সিকিম সফরে মন্তব্য অমিত শাহের
এদিন ভোরে মূল মন্দির থেকে তারা মায়ের বিগ্রহ বের করে তাঁকে পশ্চিম দিকে মুখ করে বসানো হয়। স্নানপর্ব মেটার পরে মাকে রাজ-রাজেশ্বরী সাজে সাজানো হয়! এরপর মঙ্গল আরতি! মঙ্গলারতির পর দেওয়া হয় শীতল ভোগ। দুপুরে ফল ভোগ। এদিন দুপুরে কোনও অন্নভোগ রান্না হয় না। রীতি অনুযায়ী মা তারার আজ উপোস! তিনি দিনভর তাই ফলমিষ্টি খান। মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয় না বলে, এদিন মন্দিরের সেবায়েতরাও অন্ন স্পর্শ করেন না। সন্ধ্যায় আরতি হয়। মহাভোগ দেওয়া হয় রাতে। সন্ধ্যারতির পর বিগ্রহকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মূল মন্দিরে। রাতে মাকে অন্নভোগ নিবেদন করার পর উপবাস ভাঙেন সেবায়েতরাও। প্রতিবারই এই দিনটির পরে শুরু হয়ে যায় লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন। এবারও আর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয়ে যাবে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন। চলছে তার প্রস্তুতি।