বালি বোঝাই ট্রাক্টরের দাপটে বিপন্ন বাঁধ, প্রতিরোধের হুশিয়ারি বিধায়কের
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বাঁধের উপর দিয়ে সারাদিন বালি বোঝাই ট্রাক্টর যাতায়াতের ফলে পরিবেশ দূষণের সমস্যাও দেখা দিয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বালি বোঝাই ট্রাক্টরের দাপটে নদী বাঁধ বিপন্ন। বছরের পর বছর ধরে অজয় নদের খাদান থেকে বালি বোঝাই ট্রাক্টর এই বাঁধের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। নদীবাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
অভিযোগ প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতে চলছে এই অনৈতিক কাজ। বাঁধ রক্ষার তাগিদে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সোচ্চার হয়েছেন। ভূমি দপ্তর থেকে সাধারণ প্রশাসন এই বিষয়ে কিছু না বললেও স্থানীয় বিধায়ক বলেন, বাঁধের উপর দিয়ে বালি বোঝাই ট্রাক্টর অথবা ভারি যানবাহন চলতে পারে না। প্রশাসনের সর্বস্তরে জানানোর পরে কিছুদিন বন্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। আবার যদি চালু হয়ে থাকে তা বন্ধের জন্য প্রশাসনকে বলব বলেও তিনি জানান। যদি বন্ধ না হয় তাহলে স্থানীয় বাসিন্দা দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুশিয়ারিও দেন তিনি।
কাটোয়া শহর সহ বিস্তীর্ণ এলাকাকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে ৭.৪ কিমি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে অজয়ের বাঁধের দৈর্ঘ ৩.২ কিমি। ১৯৯৮ সালে কাটোয়া শহরের উপকণ্ঠে অজয় নদের বেগুনকোলা ফেরিঘাটের কাছে সরকারি ভাবে বালি খাদানের অনুমোদন দেয় জেলা ভূমি দপ্তর। দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদারদের বালি বোঝাই ট্রাক্টর খাদান থেকে বালি তুলে বাঁধের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। প্রশাসন বালি খাদান থেকে রাজস্ব আদায় করলেও কোনও পৃথক রাস্তা না করে দেওয়ায় নদী বাঁধের উপর দিয়ে অনায়াসে চলে ট্রাক্টর।
আরও পড়ুন: দূর্ঘটনায় হারিয়েছেন ডান পা, মেলেনি সরকারি সাহায্য; ছাতা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছেন গণেশ
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বাঁধের উপর দিয়ে সারাদিন বালি বোঝাই ট্রাক্টর যাতায়াতের ফলে পরিবেশ দূষণের সমস্যাও দেখা দিয়েছে। খাদান থেকে বালি বোঝাই ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়ার কথা খাদান মালিক স্বীকার করে বলেন, তাদের সরকারি বালি খাদান। বালি কোন পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঠিক রাস্তার কথা কিছু বলে দেয়নি।