একটা `হাল্কা শব্দ` ভেসে আসছে, ঘরে পা দিয়েই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন গৃহকর্ত্রী
ছুটে এসে যুবকদের ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। এরপরই বাস থেকে দুই যুবককে নামিয়ে শুরু হয় উত্তমমধ্যম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তীরে এসে তরী ডুবল। ফাঁকা বাড়িতে হাত সাফাইয়ের কাজ প্রায় মিটেই এসেছিল। এমন সময় বাড়ি মালকিন ফিরে আসতেই 'গোল' বাঁধল। দুর্গাপুরের বিধাননগর হাউজিংয়ে চুরি করতে এসে ধরা পড়ল দুই যুবক। ধরা পরার পর স্থানীয়দের হাতে বেধড়ক মার খায় অভিযুক্তরা। মারের চোটে আহত হয় দুই যুবক-ই। তাদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
দুর্গাপুরের বিধাননগর জোনাল মার্কেটে ঘড়ির দোকান গৃহকর্তা সুকুমার কুণ্ডুর। পরিবার নিয়ে চারতলা হাউজিংয়ের তিন তলার একটি ফ্লাটে থাকেন সুকুমার বাবু। সুকুমার বাবুর স্ত্রী বন্দনা কুণ্ডু জানিয়েছেন, বাড়িতে তালা দিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা খোলা অবস্থায় পড়ে। ভেসভিতর থেকে হাল্কা একটা শব্দ ভেসে আসছে।
আরও পড়ুন, সম্পর্কে রাজি না হতেই ধর্ষণ! বিয়ে অন্য যুবতিকে, চরম পদক্ষেপ নির্যাতিতা নাবালিকার
এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকে তিনি দেখেন, ঘরের মধ্যে দুই যুবক। যুবকদের দেখে চিত্কার করে ওঠেন বন্দনা দেবী। অভিযোগ, বন্দনা দেবী চিৎকার করে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই এক যুবক তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখায়। প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তারপরই দুই যুবক বাড়ি থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। আলমারি থেকে কয়েক লাখ টাকার গয়না ও নগদ নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল।
ইতিমধ্যে বন্দনা দেবীর 'চোর, চোর' বলে চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। বেগতিক দেখে দুই যুবক বিধাননগর হাসপাতাল মোড়ের বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রান্তিকাগামী মিনিবাসে চেপে পালানোর চেষ্টা করে। ছুটে এসে তাদের ধরে ফেলেন
স্থানীয়রা। এরপরই বাস থেকে দুই যুবককে নামিয়ে শুরু হয় উত্তমমধ্যম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুরের নিউটাউনসিপ থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে দুই যুবককে উদ্ধার করে পুলিস। চিকিৎসার জন্য তাদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন, হাতে শাখা-পলা, চা বাগান থেকে মিলল আদিবাসী মহিলার অর্ধনগ্ন পচাগলা দেহ
এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চোরের দল মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গয়না-নগদ নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে বন্দনা দেবী দাবি করলেও, আটক দুই যুবকের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, টাকা, গয়না কিছুই উদ্ধার হয়নি। পাশাপাশি আরও জানা গেছে, ব্যবসার কারণে অনেকের কাছে দেনা করেছেন সুকুমার বাবু। ধারের টাকা আদায়ের জন্য এই দুই যুবক সুকুমার বাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত শুরু হয়েছে।