নিজস্ব প্রতিবেদন:  জনবহুল এলাকায় রয়েছে গ্রামের প্রাথমিক স্কুল।  তাই প্রাথমিক স্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন করলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা সংক্রমণ। এই আশঙ্কায় গ্রামের বাইরেই জঙ্গলের ধারে প্রাণ হাতে নিয়ে দিন কাটাছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাঁকুড়ার এক নম্বর ব্লকের জগদল্লা গ্রামের ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক সম্প্রতি রাজস্থান থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন। নিয়ম অনুযায়ী এই ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।  লালারসের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত ওই শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হবে।

পরিযায়ী এই শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য স্থানীয় প্রশাসন জগদল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়।  কিন্তু ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় লাগোয়া বাড়ি থাকায় স্থানীয়রা তাতে বাধা দেন। শুরু হয় স্থানীয়দের বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গেলেও গ্রামবাসীদের অনড় মনোভাবের কাছে হার মানতে হয় পুলিসকেও। 

আরও পড়ুন: ‘কালীপুজোয় উপোস করত, একটা ফোন পেয়ে সে কিনা ইসলাম ধর্ম নিল!’ সেই ফোনটা কে করেছিল জঙ্গি প্রজ্ঞাকে
এদিকে প্রাথমিক স্কুলে থাকার জায়গা না মেলায় শেষ পর্যন্ত গ্রাম থেকে দূরে বেড়াবন নামের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় তাঁবু খাটিয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। বর্ষার সময় বৃষ্টি হচ্ছে।  রয়েছে বিষধর সাপ ও কাঁকড়া বিছের উৎপাত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই বাধ্য হয়ে দিন কাটাচ্ছেন ওই ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক।