‘কালীপুজোয় উপোস করত, একটা ফোন পেয়ে সে কিনা ইসলাম ধর্ম নিল!’ সেই ফোনটা কে করেছিল জঙ্গি প্রজ্ঞাকে

Jul 19, 2020, 11:12 AM IST
1/5

নিজস্ব চিত্র

২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। জীবনের কালো দিন হিসাবে মনে করেন হুগলির ধনেখালির প্রজ্ঞা দেবনাথ। ‘একটু দরকার আছে, কলকাতায় যাচ্ছি, ফিরতে দেরি হতে পারে...’  এই বলে সেদিন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে । আর ফেরেনি । বাবা সন্ধ্যাবেলায় ফোন করেছিলেন, ‘নট রিচেবল’ । ব্যস, মেয়েই যে এইভাবে সব পরিসীমার বাইরে চলে যাবে, তা ভাবতেও পারেননি বাবা-মা ।

2/5

নিজস্ব চিত্র

প্রজ্ঞা দুদিন বাদে ফোন করেছিল, জানিয়েছিল সে ইসলাম ধর্ম নিয়েছে, যদি তার বাবা-মা মেনে নিতে পারে, তবে ফিরে আসবে। আকাশ ভেঙে পড়েছিল প্রজ্ঞার গোটা পরিবারের মাথায়। মা রাগ করে বলেছিলেন, “তোকে আর ফিরতে হবে না।” এখন জীর্ণ বাড়ির ভাঙা বারান্দার ধারে বসে আফসোস করেন মা, বলেন, “সেদিন যদি বুঝিয়ে মেয়েটাকে ঘরে ফেরাতে পারতাম, তবে হয়তো এই দিন দেখতে হতো না!”

3/5

নিজস্ব চিত্র

পর মুহূর্তেই বলেন, “ও যা দোষ করেছে, তার শাস্তি তো পেতেই হবে।” নব্য জেএমবি-র নারী বাহিনীর যে সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা দফতর, সে-ই হুগলি জেলার ধনেখালির ওই মেয়ে। এখানে অবশ্য সে প্রজ্ঞা দেবনাথ।

4/5

নিজস্ব চিত্র

সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিত হতেই প্রজ্ঞার বাড়ির সামনে অত্যুত্সাহী মানুষের ভিড়। তবে কেউ ওর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন, চলছে শুধু কানাঘুষো। গ্রামেরই এক বয়স্ক ব্যক্তি বললেন, “মেয়েটা জঙ্গি দলে নাম লেখাল! ভাবতেও কেমন লাগছে, খুব কম কথা বলত, মিশতও কম, তবে আচরণ দেখে কোনওদিন মনেই হয়নি জঙ্গি হবে!”

5/5

নিজস্ব চিত্র

প্রজ্ঞা নাকি বাড়িতে পুজো করত, পাড়ার পুজোতে উপোস করত, সেই মেয়ে কীভাবে ধর্মান্তরিত হল! ভাবতেও পারছেন না প্রজ্ঞার বাবা-মা। বাবা অবশ্য বলছেন, “ফোনটাই কাল হয়েছে, কে যে ফোন করেছিল আর কীভাবে যে ওর মাথায় এসব ঢোকাল কে জানে!”  মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে স্নাতক পাশ করেছিল প্রজ্ঞা। বাবা-মার আর্থিক অনটন বরাবরের। তারমধ্যেই দুই ছেলেমেয়েকে ‘মানুষ’ করতে চেয়েছিলেন। মেয়ে চলে গিয়েছে হাতের বাইরে! ছেলেটাকে নিয়ে চলছে পুলিস, আইনের টানাহিঁচড়ে! অসহায় প্রৌঢ় দম্পতি এখন ছেড়েছেন সব ভগবানের হাতে।