নিজস্ব প্রতিবেদন: বেপরোয়া গতির বলি ৩। ছোটো চার চাকা ভ্যানের গতিবেগ ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। যাত্রীরা একাধিকবার চালককে সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। পরপর বাইকে ও কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা মেরে ইটের স্তূপের ওপর উঠে উল্টে যায় গাড়িটি। রবিবার রাতে কৃষ্ণনগর থেকে হাঁসখালি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মা ও ছেলের।  সোমবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হল আরও একজনের। মৃতদের নাম রূপালি বিশ্বাস, অর্পণ বিশ্বাস ও আল্পনা বিশ্বাস। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পথচারী ও বাইক আরোহী। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। এদিকে গাড়ি চালককে গ্রেফতারের দাবিতে এদিন সকাল থেকে কৃষ্ণনগর-হাঁসখালি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর থেকে হাঁসখালির দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবোঝাই গাড়িটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়ির গতিবেগ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। তাই প্রথমে একটি বাইক সামনে চলে এলে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। বাইকে ধাক্কা মেরে  কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। এরপর রাস্তায় পাশে ছোটো ইটের স্তূপে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়িটি।


‘কাশ্মীরবাসীদের অধিকার পুরোপুরি লঙ্ঘিত’, বিশ্ব মানবিকতা দিবসে টুইট মমতার


রাস্তা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন রূপালি। গাড়ির তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় মা ও ছেলের। চিকিত্সা করতে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন গাড়ির ওপর যাত্রী আল্পনা বিশ্বাস। গুরুতর আহত হন তিনিও। বাইকের তিন আরোহী ও আল্পনাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় গুরুতর চোট লাগে আল্পনার। সোমবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।


এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত চালক। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার সকালে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। যাত্রাপুরের কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।