রণজয় সিংহ: ইংরেজি পরীক্ষার পর ফের মাধ্যমিকের ইতিহাসের প্রশ্নপত্র ফাঁস। প্রশ্নপত্রের কোডগুলি ঝাপসা করে ছবি তুলে তা ভাইরাল করে দেয় পরীক্ষার্থীরা। এমনটাই অভিয়োগ। এই ঘটনার জেরে তিনজন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করল পর্যদ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ওই ঘটনাটি ঘটেছে মালদায়। তবে পরীক্ষার্থীরা কোন স্কুলের পড়ুয়া এখনও জানা যায়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-তিন দিক থেকে থানা ঘেরাও করে নির্বিচার গুলি, নিহত ১০, আহত বহু


এদিকে প্রশ্নপত্রের কিউআর কোডে পরীক্ষা করে প্রশ্নপত্র ফাঁস সন্দেহে আরো এক ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় দিন রীতিমতো পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্তারা তাকে জানিয়ে দেয় ইংরেজি প্রশ্নপত্র তার কাছ থেকেই ফাঁস হয়েছে। তাই পরবর্তী কোনও পরীক্ষা আর সে দিতে পারবে না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে এমনটাই নির্দেশ এসেছে। সেইমতো তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়া হয়।


এনিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আজবিরা খাতুন। গোপালপুর হাই স্কুলের ছাত্রী আজমিরা। এবছর তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে মানিকচকের এনায়েতপুর হাই স্কুলে। জানা গিয়েছে সোমবার নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছে যায় ওই ছাত্রী। রীতিমতো তার তল্লাশি চালিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকানো হয়। প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। তারপর ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা তার নাম জিজ্ঞেস করে। আজমিরা খাতুন নাম শুনেই তাকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অফিস ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, গত শনিবার অর্থাৎ ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তার মোবাইল থেকেই ফাঁস হয়েছে। তাই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে তাকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেইমতো স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে আর পরীক্ষায় বসতে দিতে পারবে না।


ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ইংরেজি পরীক্ষার দিন তার সঠিক তল্লাশি করেই পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকানো হয়েছিল। সে কোনও মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকেনি। এমনকি সে প্রশ্নপত্র পর্যন্ত ফাঁসও করেনি। তারপরও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কেন উঠছে ছাত্রী নিজেই বুঝতে পারছেন না। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ তার সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করেছে।


পরীক্ষা বাতিল হওয়া ওই ছাত্রীর বাবা সংবাদমাদ্যমে বলেন, ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। সার্চ করে হলে ঢোকানো হয়েছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর একজন ম্য়াডাম এসে মেয়েকে বলেন সে পরীক্ষা দিতে পারবে না। কারণ তোমার কাছ থেকে ইংরেজির প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। মেয়ে জানতে চায় কার মোবাইল থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। সেই কথা কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। অ্যডমিটকার্ড নিয়ে নিয়েছে। এখন আমি স্কুলের হেডমাস্টার ও পর্ষদের বিরুদ্ধে মামলা করব।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)