Canning: বন্ধুরা তাঁকে বাঘের মুখ থেকে ফেরাতে পারলেও মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরাতে পারলেন না!
Canning: ফের বাঘের আক্রমণে মৃত্যু এক মৎস্যজীবী। জানা গিয়েছে, জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে বাঘটি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মৎস্যজীবীকে লক্ষ্য করে। বন্ধুরা তাঁকে বাঘের মুখ থেকে ফেরালেও মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরাতে পারলেন না!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বন্ধুরা তাঁকে বাঘের মুখ থেকে ফেরালেও শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরাতে পারলেন না! বন্ধুর হয়ে তাঁরা এক অসমসাহসী লড়াই লড়লেন তাঁরা। বাঘকে জঙ্গলে তাড়িয়ে বন্ধুর রক্তাক্ত আহত দেহ নিয়ে বাড়ির দিকে দৌড়লেনও। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বাড়ির পথেই মারা গেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Malbazar: রাতে লোকালয় থেকে গরু-ছাগল-হাঁসমুরগি তুলে নিয়ে যাচ্ছে চিতাবাঘ...
ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন ঝড়খালি কোস্টাল থানা এলাকায়। মৃত মৎস্যজীবীর নাম হরিপদ দাস (৪৮)। স্থানীয় পুলিসসূত্রে জানা যায়, হরিপদ দাস তাঁর দুই সঙ্গীকে নিয়ে ঝড়খালি গাজিখাল এলাকায় নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় জঙ্গল থেকে একটি বাঘ হরিপদকে লক্ষ্য করে তার উপর এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর তাঁকে টানতে-টানতে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাঘটি।
তখনই নিজেদের স্নায়ু ঠিক রেখে সঙ্গীর জন্য এক অসমসাহসী লড়াই লড়েন হরিপদর বাকি দুই সঙ্গী। তাঁরা হরিপদকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বাঘের সঙ্গে হরিপদর ওই দুই সঙ্গীর লড়াই চলে। এরপর বাঘ বেগতিক দেখে হরিপদকে ছেড়ে জঙ্গলের মধ্যে চলে যায়।
আরও পড়ুন: Siliguri: বাংলাদেশের পরে এবার লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতির দল...
সঙ্গে সঙ্গে হরিপদর ওই দুই সঙ্গী হরিপদকে নৌকোয় তুলে নিয়ে ত্রিদিবনগরে হরিপদর বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। মাঝনদীতেই হরিপদ মারা যায় বলে জানা যায়। হরিপদর মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছনো মাত্রই এলাকার শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে ঝড়খালি থানার পুলিস দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে।