জমজমাট গঙ্গাসাগরে নিরাপত্তায় প্রথমবার বিচ বাইক
রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি জলপথে গঙ্গাসাগরে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনীও। জলপথে পেট্রোলিংয়ের জন্য পারাদ্বীপ থেকে আনা হয়েছে দ্রুতগামী বিশেষ জলযান `বজ্র`।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রবিবার মকরসংক্রান্তি। পুণ্যতিথিতে সাগরে ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জন করে থাকেন লাখ লাখ পুণ্যার্থী। মকরসংক্রান্তির স্নান উপলক্ষে ইতিমধ্যেই জমজমাট গঙ্গাসাগর।
নাগা বাবা থেকে সাধারণ পুণ্যার্থী, গঙ্গাসাগরে নেমেছে ভক্তের ঢল। গোটা ভারতবর্ষটাই যেন উঠে এসেছে গঙ্গাসাগরে। তিল ধারনের জায়গা নেই মেলায়। কনকনে ঠান্ডায় ধুনির হালকা আঁচে গা পোহাচ্ছেন নাগা সন্ন্যাসীরা। আর তাদের ঘিরে ধরে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তের দল। কেউ ভক্তিগীতি গাইছেন। কেউ আবার গানের তালে পা মেলাচ্ছেন। শুধু কি পুণ্যস্নান? বাদ গেল না পৌষপার্বণের পিঠেপুলিও। গঙ্গাসাগরে ধরা পড়ল পিঠেপুলি তৈরির ছবিও।
পাশাপাশি কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে গঙ্গাসাগরে। দুর্ঘটনা এড়াতে এই প্রথমবার গঙ্গাসাগরে ব্যাবহার করা হচ্ছে বিচ বাইক। একইসঙ্গে ড্রোনের সাহায্যেও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস।
আরও পড়ুন, ভিনধর্মে সম্পর্ক, কুয়োর রেলিংয়ে যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি জলপথে গঙ্গাসাগরে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনীও। জলপথে পেট্রোলিংয়ের জন্য পারাদ্বীপ থেকে আনা হয়েছে দ্রুতগামী বিশেষ জলযান 'বজ্র'। আকাশে চক্কর কাটছে ২টি হেলিকপ্টার ও ৫টি ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফ্ট। তৈরি রয়েছে ৪টি হোভারক্রাফ্ট। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডুবুরিও।