নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে প্রতিদিনই শাসক দলকে নিশানা করছে বিজেপি (West Bengal BJP)। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরাও ঘুরে গিয়েছেন রাজ্যে। এবার যেন উলটপুরাণ! ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অভিযোগকারীর ভূমিকায় শাসক দল তৃণমূল। অভিযুক্ত প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। অভিযোগের কেন্দ্রস্থল শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুর। জেলার ভগবানপুর দুই ব্লকে দলীয় কর্মীদের মারধর এবং ঘরছাড়া করার অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠিও দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তরুণ জানা (Tarun Jana)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


তরুণ জানা (Tarun Jana) চিঠিতে লিখেছেন,'ভগবানপুর কেন্দ্রে ক্রমাগত হিংসা ছড়াচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। বিজেপির হামলায় আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা গুরুতর আহত। অনেকেই মৃতপ্রায়। আমাদের দলের অনেক নেতা-কর্মী ঘর ছাড়া।' সংবাদ মাধ্যমে তরুণ জানান,'মানুষের উপরে এভাবে অত্যাচার করা যায়! বয়স্ক মহিলারা পায়ে ধরছেন। সন্ধ্যার বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না মানুষ। কোলের শিশুকেও ছাড়ছে না। বহিরাগত হার্মাদ এনে সন্ত্রাস চালাচ্ছেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। রাত ১১টার পর থেকে প্রতিদিন লাগাতার সন্ত্রাস চলছে। মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।'


 


বিধায়কের নির্দেশেই হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি (Rabindranath Maity)। তাঁর কথায়,'সারা বাংলায় বিজেপি না তৃণমূলের লোকেরা ঘরছাড়া সেটা আপনারা ভালো জানেন। ভগবানপুর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। তার শোধ নিতে ২ মে-র পর থেকে শুরু হয়েছে অত্যাচার। এখনও আমাদের শতাধিক কর্মী ঘরছাড়া। মিথ্যা মামলা দিয়ে রাত দুটোয় আমাদের কর্মীদের তুলে নিয়ে গিয়েছে। ২ জুলাই বিধানসভায় গিয়েছিলাম। সেদিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে তৃণমূল। ধারাবাহিক সন্ত্রাস চলছে। বাংলায় তৃণমূল ছাড়া কেউ সন্ত্রাস করে না।' 


আরও পড়ুুন- 'মরচে ধরেছে দলে', খোলনলচে বদল চেয়ে আলিমুদ্দিনে চিঠি Kanti-র


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)