নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ দাবদাহের পর এ যেন দমকা ঠান্ডা হাওয়া। রবিবার বোলপুরে বীরভূম জেলা কমিটির মিটিং দেখে মজার ছলে এমনই মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এমন মন্তব্য়ের কারণ? ওই মিটিংয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সহাবস্থান।  সূত্রের খবর, কেবল এক মঞ্চে বসেননি তাঁরা, বরং খোশ মেজাজে কথাও বলেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত -শতাব্দী দ্বন্দ্ব সুবিদিত। জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে কখনও প্রকাশ্যে, আবার কখনও দলের অন্দরে সরব হয়েছেন শতাব্দী রায়। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, অনুব্রত মণ্ডলের জন্য নাকি একবার দলত্যাগেরও সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন শতাব্দী। তবে পরে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা রোধ হয়। এহেন অনুব্রতর সঙ্গেই দীর্ঘ প্রায় তিন বছর পর ফের একসঙ্গে দেখা গেল শতাব্দী রায়কে। শেষবার লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমের বোলপুরে জেলা কমিটির মিটিং তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এরপর রবিবার সেই জেলা কমিটির মিটিং উপস্থিত হলেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন: কুড়ি বার চুরি! চৌর্যবৃত্তিকেই পেশা করলেন ইংরেজিতে MA পাস যুবক


আরও পড়ুন: কালিয়াচককাণ্ডে মহম্মদ আসিফের ১২ দিনের পুলিসি হেফাজত, নির্দেশ আদালতের


এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শতাব্দী রায় বলেন, 'সম্পর্ক ভাল নয় বলে থাকা হয়নি তেমনটা নয়। অনেক সময় আমি থেকেছি, অনেক সময় থাকিনি। আজকে সময় পেয়েছি বলে এসেছি। সেটাও একটা বড় কারণ।' কেবল একসঙ্গে মিটংয়ে থাকাই নয়, বৈঠকে বহু সিদ্ধান্তও নেন তাঁরা। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিনের বৈঠকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক, জেলার প্রায় ৪০ জন অঞ্চল সভাপতিকে বদল করতে চলেছে তৃণমূল। দুই, ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে একজন করে কার্যকরী সভাপতি।