রণজয় সিংহ: বিরোধীরা গ্রামে গেলে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়ার নিদান তৃণমূল নেত্রীর! শুধু তাই নয়... গাছে বেঁধে চণ্ডীপাঠ পড়াবে মানুষ! মঞ্চ থেকে এমন হুঁশিয়ারিও দিলেন মহিলা ব্লক সভানেত্রী। পালটা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। সবমিলিয়ে শাসক-বিরোধী বাকযুদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে সরগরম মালদার রাজনীতি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য নেত্রীদের। বিজেপি এবং সিপিআইএমকে একযোগে তীব্র আক্রমণ। লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়ার নিদান। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১(বি) ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল বড়োই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা সভানেত্রী মৃণালিনী মাইতি, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (বি) ব্লক মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী সুজাতা সাহা, হরিশ্চন্দ্রপুর ১(বি) ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস, মহিলা জেলা সদস্যা পপি চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সভামঞ্চ থেকে প্রকাশ্যে একের পর এক বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রীরা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। 


ব্লক মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মঞ্চ থেকে বিরোধীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন। গ্রামবাসীদের নিদান দেন, বিরোধীরা গ্রামে গেলে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়ার। সঙ্গে এও বলেন, গাছে বেঁধে রেখে রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পের নামগুলো চণ্ডীপাঠ করে পড়াবে মানুষ। অন্যদিকে ভোটের আগে ফের জয় শ্রী রাম নিয়ে বিতর্ক উসকে দিলেন মহিলা তৃণমূলের জেলা সম্পাদিকা শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য। তিনি প্রকাশ্য সভা মঞ্চ থেকে বলেন বিজেপিকে ভোট দিয়ে জয় শ্রী রাম বলে ঠিক লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। তাদেরকে বোঝাতে হবে রামকে নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না। সাথে তিনি অভিযোগ করেন, আবাস যোজনার নাম করে বিরোধীদের পাঠানো এজেন্টরা গ্রামে গ্রামে টাকা তুলছে মানুষের কাছ থেকে। তৃণমূল নেত্রীদের এহেন একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে সরগরম রাজনীতি। 


মালদা জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী মৃণালিনী মাইতি বলেন, আগামী ১৮ তারিখ মালদা জেলায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আসছেন। আজ এখানে তার প্রস্তুতি সভা ছিল। রাজ্য সরকার যখনই কোনও প্রকল্প বের করে বিরোধীরা চক্রান্ত করে গ্রামে গ্রামে কিছু এজেন্ট পাঠায়। তারা মানুষের কাছ থেকে অল্প অল্প করে টাকা নেয়। হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে নিয়ে সেটাই বিশাল পরিমাণ দুর্নীতি হয়ে দাঁড়ায়। হরিশ্চন্দ্রপুর ১(বি) ব্লক মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী সুজাতা সাহা বলেন, এখানে হুমকির কিছু নেই। বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই, তাই কুৎসা করে যাচ্ছে। মানুষ সেই জন্যই লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেবে। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি বিরোধীরা দেখতে পাচ্ছে না। তাই চন্ডীপাঠ করে পড়াবে মানুষ।


এই নিয়ে যদিও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পালটা জবাব, জনসাধারণ লঙ্কার গুঁড়ো কাদের ছেটাবে, সেটা তারাই ঠিক করবে। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, মানুষ লঙ্কারগুঁড়ো কাকে ছেটাবে সেটা মানুষ ঠিক করবে। প্রকল্পের টাকা দেয় কেন্দ্র সরকার। রাজ্য খেলা-মেলা ছাড়া কিছু করে না। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ সব জবাব দেবে। সবমিলিয়ে শাসক-বিরোধীর বাকযুদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে কনকনে শীতের মাঝেই জেলায় ঊর্ধ্বমুখী রাজনীতির পারদ।


আরও পড়ুন, মিড ডে মিলের চালে মরা টিকটিকি-ইঁদুর! কড়া ব্যবস্থা নিল শিক্ষা দফতর



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)