দেবজ্যোতি কাহালি: গতকাল নিকমনগরের পর এবার গিতালদহ। ফের উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। গতকাল নিকমনগরে ২ তৃণমূল কর্মীর উপরে হামলার পর আজ গিতালদহে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি চালনার অভিযোগ উঠল। এনিয়ে উত্তেজনা বাড়ল এলাকায়। অঞ্চল সভাপতি মাহফুজুর রহমানের অভিযোগ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাড়ারই কিছু দুষ্কৃতী। কমপক্ষে ৩-৪ রাউন্ড গুলি চলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত দিনহাটা, গুরুতর আহত ২ তৃণমূল কর্মী


তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির দাবি, কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছিল। গুলির শব্দ পেয়ে তৃণমূল সমর্থকরা হামলাকারীদের তাড়া করলে তারা পালিয়ে যায়। ওই বয়ানের উপরে ভিত্তি করে ঘটনাস্থল তন্নতন্ন করে গুলির খোল খুঁজছে পুলিস। অভিযুক্তরা পলাতক। কিন্তু এলাকায় উত্তেজনা থাকায় গ্রামে টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিস বাহিনী। যাদের নামে অঞ্চল সভাপতি অভিযোগ করেছেন তাদের খোঁজ করছে পুলিস। 


কী হয়েছিল আসলে? গিতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি মাহফুজুর রহমান সংবাদমাধ্য়মে বলেন, আবাস যোজনার একটি বৈঠকে বিডিও ডেকেছিলেন। আজ আবার আমাদের আশাকর্মী, অঙ্গলওয়াড়ি কর্মীদের একটা বৈঠক ডেকেছিলাম। ওই বৈঠক শেষে বাড়ি এলাম। এবার বিডিওর বৈঠকে যাওয়ার কথা। আমার বাইক ছিল না। একজনের বাইকে চড়ে আসছিলাম। নিউমার্কেট লাগোয়া এলাকায় কুদ্দুস বলে একটা ছেলে রয়েছে। ওই কুদ্দুস-সহ বেশ কয়েকজন মহিলা আমাকে দাঁড়াতে বলে। আমি রাজনীতি করি। কেউ বললে দাঁডা়তে হয়। ওদের কথা শুনে আমি দাঁড়ালাম। কিন্তু ওদের প্ল্যান যে অন্যকিছু ছিল কীভাবে বুঝব! ওদের মধ্যে এক মহিলা আমার কলার ধরার চেষ্টা করে। অনেকে ওকে আবার আটকে দেয়। সেখান থেকে আমি বাড়ি চলে আসি। ওই ঘটনার কথা চাউর হয়ে যায়। আমার বাড়িতে অনেকেই জড়ো হয়। ওদের কথা শুনে আমি ঘরের পেছনে যাই। আমাকে দেখেই গুলি করতে শুরু করে কয়েকজন। শব্দ শুনে আমাদের কর্মীরা ছুটে এলে ওরা পালিয়ে যায়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)