শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: 'ক্ষমতা থাকলে দল আমাকে বহিষ্কার করুক'। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে 'বেসুরো' হুমায়ুন কবীর। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি, 'আমার একজন প্রার্থীও সরে দাঁড়়াবে না। নির্দল হয়েও জিতে দেখাব'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েত প্রার্থী কারা হবেন? তৃণমূলে 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'। দল যাঁদের টিকিট দিয়েছে তাঁরা যেমন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তেমনিও আবার নির্দল প্রার্থী হিসেবেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন বিক্ষুদ্ধরাও! মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের প্রতীক 'নৌকা'।


এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে রণকৌশল ঠিক করতে কালীঘাটে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যেসব দলীয় কর্মী নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, দয়া করে নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন না, দলের হাত শক্ত করুন, বিরোধীর সুবিধা করে দেবেন না। অনুরোধ করি, আপনারা আপনাদের মনোনয়নপত্র উইথড্র করে নিন'। সঙ্গে কড়া বার্তা, 'যাঁরা আমাদের এই অনুরোধে সাড়া দেবেন, তাঁদের পাশে আগামী দিনে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু যাঁরা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করবেন, আগামী দিনে দলের দরজা-জানলা তাঁদের সামনে চিরতরে বন্ধ থাকবে। এটা আমার কথা নয়। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথা'। 


আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: বিদেশ থেকেও পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন! কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের


তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, 'এর আগেও বিনা কারণে, ২০১৫ সালের ২৬ ফ্রেরুয়ারি তৎকালীন মহাসচিব এখন যে মন্ত্রিসভায় আছে, ইন্দ্রনীল সেন, ২০১৪-র লোকসভা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে, হো-হারা অধীর চৌধুরীর কাছে হেরে, তার দায়ভার আমরা ঘাড়ে চাপিয়ে, চোখ বুজে আমাকে বহিষ্কার  করে দিয়েছিল। আমার কিছু যায় আসে না। আমি ২০১৬-তে নির্দল দাঁড়িয়ে তার জবাব দিয়েছিলাম। আমি ওসব নিয়ে কিছু ভাবি না'।



পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষ। এখন চলছে স্ক্রুটিনি বা মনোনয়ন খতিয়ে দেখার কাজ। ফলে খাতায়-কলমে প্রার্থী প্রত্যাহারের আর সুযোগ নেই। তবে চাইলে লিফলেট বিলি করে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিতে পারেন নির্দলরা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)